ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকারকে হাইকোর্টের নির্দেশ

এ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

 এ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যথাযথ তত্ত্বাবধান ও নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এমন নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেক্টরের চিকিৎসক সমাজ এবং সচেতন সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার পেছনে নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি এবং ওষুধ বিক্রেতা ও ক্রেতার অসাবধানতা বড় ভূমিকা রাখছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনেক আগেই এ বিষয়ে বিশ্ববাসীকে সতর্ক বার্তা দিয়ে রেখেছে। যে সব এ্যান্টিবায়োটিক বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে, সেগুলোর অনেক এ্যান্টিবায়োটিক আজ জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ প্রতিরোধী মোকাবেলায় দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করলে অনেক সাধারণ সংক্রামক রোগ ভাল হবে না। এতে অসহায় অবস্থায় রোগীকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হবে। এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সাবধানী না হলে খুব শীঘ্রই মানবজাতি জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রাণরক্ষার যুদ্ধে পরাস্ত হবে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহারে নিশ্চিত করতে হলে চিকিৎসক ও রোগী উভয়কেই বিবেকবান হতে হবে। ফার্মেসিগুলো নিয়ন্ত্রণে না এলে এবং জেনারেল প্র্যাক্টিশনার্স চিকিৎসকরা যতক্ষণ বিবেকবান না হবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত এ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে না। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার পেছনে ওষুধ বিক্রেতা ও ক্রেতার অসাবধানতাও ভূমিকা রাখছে। সর্দি-কাশি জ্বরে আক্রান্ত রাজধানীর পূর্ব তেজতুরিবাজারের ইউসুফ মিয়া (৪০)। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই তিনি ফার্মগেটের আসমা ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে গেলেন। ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতা মোঃ মকবুলও আর দেরি করেননি। ইউসুফের হাতে তিনিও তুলে দিলেন এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। শুধু তাই নয়, আর দিয়ে দিলেন কিছু ডাক্তারি পরামর্শ। এভাবে দেশের সর্বত্রই চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সতর্কবার্তাতেও কাজ হয়নি। কিন্তু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হচ্ছে অনেক রোগী। ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া এক রোগের ওষুধে খেতে গিয়ে অন্য আরেকটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এমন অবাধ ওষুধ বিক্রি অব্যাহত থাকলে খুব শীঘ্রই দেশের জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মধ্যে পড়বে বলে মনে করছেন ওষুধ ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। এভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে গজিয়ে উঠেছে লাখ লাখ ওষুধের দোকান (ফার্মেসি)। ওই সব দোকানে ওষুধ বিক্রির কাজে জড়িতের শতকরা ৯০ ভাগেরই ওষুধ সম্পর্কে ভাল ধারণা নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারে না রোগীরা। ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন চাওয়ার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেন না ওষুধ বিক্রেতারা। দোকানে সামনে দাঁড়িয়ে ওষুধের নাম উল্লেখ করলেই তা ক্রেতার হাতে তুলে দেয়া হয়। আবার অনেক দিনের মেয়াদোত্তীর্ণ পুরনো প্রেসক্রিপশন নিয়ে অনেক রোগী ফার্মেসিতে যায়। প্রেসক্রিপশনের তারিখ ও ওষুধ খাওয়ার সময়সীমা দেখার প্রয়োজনবোধও করেন না বিক্রেতারা। আর্থিক বাণিজ্যই তাদের কাছে মুখ্য হয়ে ওঠে। ফার্মগেটের তেজতুরিবাজারের প্রিয়া ফার্মেসি। ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই দোকানদারের কাছে ১ পাতা মক্সিন (এ্যান্টিবায়োটিক) চাইলেন। আর ক্রেতাকে কোন কিছু জিজ্ঞেস না করেই ওষুধের পাতাটি তুলে দিলেন বিক্রেতা লিয়াকত আলী। বিক্রেতাকে টাকা দিয়ে চলে গেলেন ক্রেতা। প্রেসক্রিপশন ছাড়া এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রেতা লিয়াকত আলী বলেন, সব ধরনের ওষুধ বিক্রির জন্য প্রেসক্রিপশন লাগে না। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ওষুধ কিনে না। প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ বিক্রি করতে গেলে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে। ওষুধের ভাল-মন্দের বিচার করবে ক্রেতারা। রোগী দেখার জন্য নয়, আমরা ওষুধ বিক্রি করার জন্য বসেছি বলে জানান লিয়াকত আলী। এভাবে লিয়াকত আলীর মতো রাজধানীর প্রায় প্রতিটি ফার্মেসিতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রির ঘটনা ঘটছে। নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না : হাইকোর্ট যথাযথ তত্ত্বাবধান ও নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালককে প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসককে সার্কুলার জারি করতেও বলা হয়েছে। জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়। রুলে জানতে চাওয়া হয়, যথাযথ তত্ত্বাবধান ও নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না ? স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন সচিব ও দেশের সব জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে রুলের জবাব দিতে বলেছে হাইকোর্ট। এ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় চিন্তিত চিকিৎসক সমাজ ও সচেতন সাধারণ মানুষ ॥ এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার রোধে কার্যকর উদ্যোগ নেই। নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিসহ আরও বেশ কয়েকটি কারণে ওষুধের প্রতিরোধী প্রবণতা মহামারী আকার ধারণ করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, যথেচ্ছ ব্যবহারে কার্যকারিতা হারাচ্ছে এ্যান্টিবায়োটিক। প্রায় ৫৬ শতাংশ এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কাজ করছে না। রোগীদের দেহে এ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ক্ষমতা বেড়েছে। জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রথাগত এ্যান্টিবায়োটিক কাজে আসছে না। এটি মানুষ ও পশু স্বাস্থ্য এবং কৃষি সেক্টরের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশু খাদ্যের জন্য ব্যবহৃত প্রায় ৫০ প্রকারের এ্যান্টিবায়োটিক আজ প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। প্রতিরোধী জীবাণু পরবর্তীতে পশু থেকে মানুষে স্থানান্তরিত হতে পারে। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, চিকিৎসকদের পক্ষেও ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠার বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করা সম্ভব হয় না। চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই অবাধে ওষুধ বিক্রি করে থাকে ফার্মেসির লোকজন। অনেক সময় রোগী ও তাদের লোকজনও চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন গ্রহণ ও তা অনুযায়ী ওষুধ কেনার প্রয়োজন অনুভব করেন না। ওষুধ প্রতিরোধী বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। অনেক চিকিৎসক ব্যবসায়িক স্বার্থে রোগীদের জন্য অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর রোগীরাও আস্থার সঙ্গে ব্যবহার করে যাচ্ছেন চিকিৎসকদের তালিকাভুক্ত ওষুধ। এতে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে অনেক রোগী। ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞ চিকিৎসকরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ জানান, এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সমাদৃত এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে যার অবদান অবিস্মরণীয়। দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, অপব্যবহারের কারণে এ এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ক্ষমতা কোন কোন জীবাণু ধ্বংসের ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশেও এ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কম নয়। মানুষ কোন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হলেই প্রাথমিকভাবে তার নিকটবর্তী দোকান থেকে ওষুধ কিনে খেতে পারে। ওষুধ কিনতে কোন বাধ্যবাধকতা না থাকায় এবং ডাক্তারের কোন প্রেসক্রিপশন না লাগায় মানুষ সহজেই এ কাজটি করছে। এটি হচ্ছে জনসচেতনতার অভাবে। ফলে অপরিমিত ও মাত্রাহীন ওষুধ খাওয়ার ফলে এর জীবাণুনাশক ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতা রোধে এখনই ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে জানান অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক ডাঃ মাহমুদুর রহমান, এ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে চিকিৎসক ও রোগী উভয়কেই বিবেকবান হতে হবে। ফার্মেসিগুলো নিয়ন্ত্রণে না এলে এবং জেনারেল প্র্যাক্টিশনার্স চিকিৎসকরা যতক্ষণ বিবেকবান না হবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত এ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে না। মেডিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত না হয়ে অপ্রয়োজনে এ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক নয়। এ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ও ভুল ব্যবহারে প্রতিরোধী জীবাণুর উদ্ভব ঘটছে। এভাবে এ্যান্টিবায়োটিক তার কার্যকারিতা হারায়। প্রতিরোধী জীবাণুর কারণে কিছু এ্যান্টিবায়োটিক এখন অনেক ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধে কাজে আসে না। সে জন্য একটি নবজাতক শিশুকেও অনেক সময় কয়েক প্রকারের এ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয় জানান ডাঃ মাহমুদুর রহমান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা ॥ ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার সারাবিশ্বকে আজ ভাবিয়ে তুলেছে। এমন অবস্থা মোকাবেলায় জরুরী ভিত্তিতে ছয়টি করণীয় তুলে ধরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেগুলো হলো- প্রতিটি দেশকে সম্মিলিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা উচিত। পর্যবেক্ষণ ও ল্যাবরেটরি ক্যাপাসিটি বাড়ানো দরকার। প্রয়োজনীয় ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধসহ ওষুধের গুণাগুণ নিশ্চিত করতে হবে। ওষুধের ব্যবহার ভালভাবে মনিটরিং করতে হবে। সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে হবে। শক্তিশালী গবেষণার পাশাপাশি চিকিৎসার নতুন নতুন ওষুধ ও উপকরণের বিস্তার ঘটাতে হবে। ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, যে সব এ্যান্টিবায়োটিক কুষ্ঠ, যক্ষ্মা, গনোরিয়া ও সিফিলিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে, সেগুলোর অনেক এ্যান্টিবায়োটিক আজ জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ প্রতিরোধী মোকাবেলায় দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করলে অনেক সাধারণ সংক্রামক রোগ ভাল হবে না। এতে অসহায় অবস্থায় রোগীকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হবে। ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার বিষয়টি খুব পরিষ্কার। এ বিষয়ে আজ উদ্যোগ না নিলে আগামীকাল একটি রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে না। লাখ লাখ মানুষকে সুস্থ করে তুলতে পারে এমন অতি প্রয়োজনীয় অনেক ওষুধ নষ্ট করে ফেলতে পারি না আমরা। ওই সব ওষুধ যাতে প্রতিরোধী না হয়ে ওঠে সেদিকে সতর্কতা অবলম্বন করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। পৃথিবীতে অর্ধেকের চেয়ে বেশি ওষুধের ক্ষেত্রে ভুল প্রেসক্রিপশন হচ্ছে অথবা ওষুধ ভুলভাবে বিতরণ বা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রায় অর্ধেক রোগী ভুলভাবে ওষুধ গ্রহণ করছে। এ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার না হলে সংক্রামক রোগের বিস্তার ঘটায়। এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সাবধানী না হলে খুব শীঘ্রই মানবজাতি জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রাণরক্ষার যুদ্ধে পরাস্ত হবে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
×