ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

 অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান মানবতার উজ্জ্বল  দৃষ্টান্ত

অনেকেই অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুকে এক করে ফেলেন। ফলে অনেক সময় এই দুই ধরনের শিশু সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে রোগকে জটিল করে ফেলে। সারাদেশে ১৫টি মেডিক্যাল কলেজে শিশু বিকাশ কেন্দ্র অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের সঠিকভাবে চিকিৎসা ও ফিজিওথেরাপি দিয়ে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক করে তোলা হচ্ছে। এদিকে দেশের যে কোন মানুষ জীবিত অবস্থায় তার মৃত্যুর পর শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করার অঙ্গীকার করে যেতে পারেন। এবারের স্বাস্থ্য সপ্তাহের শেষ দিনে বগুড়া স্বাস্থ্য বিভাগের সমাপনী দিবসে এই বিষয়গুলো উঠে এসেছে। জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন সামির হোসেন মিশু জানান, সেবা সপ্তাহে বগুড়ায় বড় সাফল্য এসেছে। বিশেষ করে মানব দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দানের অঙ্গীকার মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়েছে। মানুষ এখন বুঝতে শিখেছে মৃত্যুর পর তাদের দেহের কোন অঙ্গ নিয়ে কেউ বেঁচে থাকলে তা হবে সবচেয়ে বড় মানবতা। এতদিন মানুষ জানত মৃত্যুর পর শুধু চোখ দান করা যায়। বর্তমানে শরীরের সব অঙ্গই মৃত্যুর পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেটে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করে পরবর্তী সময়ে অনেক জীবন রক্ষা করা যেতে পারে। স্বাস্থ্য সপ্তাহের আরেকটি অর্জন, খুদে ডাক্তার। স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার বিষয় জানিয়ে দেয়া। এই খুদে ডাক্তাররা স্কুলের শিশুদের পরীক্ষা করে চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের (শজিমেক) চিকিৎসক মুস্তারী জান্নাত বলেন, এই মেডিক্যাল কলেজ ২০১৪ সালে স্থাপিত হয় সরকারের শিশু বিকাশ কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য অটিস্টিক শিশুকে অভিভাবকদের সহযোগিতায় ৩টি ধাপের চিকিৎসায় (মেডিকেশন ফিজিওথেরাপি ও কাউন্সিলিং) যতটা সম্ভব স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা গেছে। তিনি জানান, শিশু প্রতিবন্ধী হয়েছে কি না তা যত সহজে বোঝা যায়, অটিস্টিক শিশুকে বুঝতে কখনও অনেকটা সময় লাগে। যে কারণে অনেক অভিভাবক অটিস্টিক শিশুকে প্রতিবন্ধী ভেবে প্রথমেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা কিছু কথিত ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে গিয়ে রোগকে আরও জটিল করে ফেলেন। ফলে শিশুর জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্বাস্থ্য সপ্তাহে সাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের অনেক অসঙ্গতি উঠে আসে। এক বক্তা বললেন, স্বাস্থ্য সপ্তাহে সরকারী হাসপাতালগুলোতে যেভাবে নিয়মিত এবং সময়মতো চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পাওয়া গেল বছরের অন্য সময়গুলোতে সরকারী হাসপাতালে তাদের সময়মতো পাওয়া যায় না। তারা ক্লিনিকগুলোতে যতটা প্রাইভেট প্রাকটিসের প্রতি আসক্ত ততটা সরকারী হাসপাতালে নয়। এ ছাড়াও অনেক সময় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের এ্যানেটডেন্টের সঙ্গে চিকিৎসকদের বাগবিত-া কখনও তা থেকে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষ যাতে সরকারী হাসপাতালে সুচিকিৎসা পায় এবং চিকিৎসকরা যেন গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দেন সে বিষয়ে আশ্বাস দেন কর্মকর্তারা। -সমুদ্র হক, বগুড়া অফিস থেকে
×