ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদ বাজার সামনে রেখে ব্যস্ত কেরানীগঞ্জের ৫ সহস্রাধিক কারখানা

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

  ঈদ বাজার সামনে রেখে  ব্যস্ত কেরানীগঞ্জের ৫ সহস্রাধিক কারখানা

সালাহ্উদ্দিন মিয়া, কেরানীগঞ্জ, ২৬ এপ্রিল ॥ ঈদ বাজার সামনে রেখে জিন্স প্যান্ট তৈরির ধুম পড়েছে কেরানীগঞ্জের কারখানাগুলোতে। পাঁচ সহস্রাধিক কারখানায় তৈরি হচ্ছে জিন্স প্যান্ট। কাজের চাপে শ্রমিকরা ঘুম, খাওয়া-দাওয়া ও গোসলের সময় পাচ্ছে না। কেরানীগঞ্জ উপজেলা শুভাঢ্যা ও আগানগর ইউনিয়নে তৈরি জিন্স প্যান্টগুলোতে বর্তমানে এমনই অবস্থা। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশের অভিজাত মার্কেট, সুপার মার্কেট, শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোতে শোভা পাচ্ছে কেরানীগঞ্জে তৈরি জিন্স প্যান্ট। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় করছে সারাদেশের তৈরি পোশাক পাইকাররা। মেশিনের শব্দে আর ক্রেতা-বিক্রেতার মিলন মেলায় মুখরিত হয়ে উঠেছে জিন্স পট্টি। এ প্রসঙ্গে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন শেখ বলেন, দুই মাস আগ থেকে জিন্সের মার্কেটগুলো চাঙ্গা হয়েছে। শব-ই-বরাতের পর থেকে মফস্বলের পাইকাররা কেনা-কাটা শুরু করেছে। এ বিক্রি ২৫ রোজা পর্যন্ত চলবে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ব্যবসা ভাল। তিনি আরও বলেন, কোন ধরনের চাঁদাবাজি না থাকায় মফস্বলের পাইকাররা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনা-কাটা করতে পারছে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত ব্যবস্থা থাকার ফলে কারখানার শ্রমিকরা ও মালিকরা আনন্দের সঙ্গে কাজ করতে পারছে। কেরানীগঞ্জের বিশাল এই মার্কেটের সাড়ে ৫ সহস্রাধিক কারখানা ছাড়াও দুটি ইউনিয়নের আনাচে-কানাচে অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে আড়াই হাজার কারখানা। ওই সব কারখানায় জিন্স প্যান্ট ছাড়াও তৈরি হচ্ছে পাজামা-পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ, টি-শার্ট, শার্ট, ফতুয়া, বোরকা ও শীতবস্ত্র। প্রায় ৬ লাখ শ্রমিক কাজ করে ওই কারখানাগুলোতে। তার মধ্যে শুধু জিন্সের কারখানাগুলোতেই প্রায় ৪ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। দিন দিন এখানকার উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। যে কারণে এই মার্কেটগুলোতে ব্যবসায়ীদের জায়গা সঙ্কুলান হচ্ছে না। তারা বাধ্য হয়ে শুভাঢ্যা ও আগানগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নতুন শো-রুম ও কারখানা প্রতিষ্ঠা করছে। বিশেষ করে শুভাঢ্যা ইউনিয়নের হাসনাবাদ, মিরেরবাগ, চর-মিরেরবাগ, খেজুরবাগ, চর-খেজুরবাগ, কালীগঞ্জ, চর-কালিগঞ্জ, কৈবত্যপাড়া, চরকুতুব, চুনকুটিয়া ও শুভাঢ্যা এলাকায় কারখানা ছড়িয়ে পড়েছে। আর আগানগর ইউনিয়নের পূর্ব আগানগর, আগানগর, বাঘাবাড়ি, ইস্পাহানি, নতুন শুভাঢ্যা, আমবাগিচা, ইমামবাড়ি এবং কদমতলী গোলচত্বর এলাকা পর্যন্ত।
×