স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নীলফামারীর ছয় উপজেলায় ২৫ ডিলার টিসিবির ভোগ্যপণ্য বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও মাত্র একজন ডিলার বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি শুরু করে। শুক্রবারও দেখা যায় একজন ডিলারই পণ্য বিক্রি করছে বাকি ২৪জন এখনও পণ্য বিক্রি শুরু করেনি। জেলা প্রশাসন সূত্র মতে, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলার ছয় উপজেলায় ২৫ ডিলার টিসিবির পণ্য বিক্রি করবেন। ওই পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয় ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে। জেলার ছয় উপজেলায় ২৫ ডিলারের মধ্যে রয়েছে জেলা সদরে ৭জন, জলঢাকায় ২ জন, ডিমলায় ৩ জন, কিশোরীগঞ্জে ৭ জন, ডোমারে ৪ জন, সৈয়দপুরে ২ জন। তারা প্রতিকেজি চিনি ৪৭ টাকা, প্রতিলিটার ভোজ্য তেল (সয়াবিন) ৮৫ টাকা ও মসুরডাল ৪৪ টাকা দরে বিক্রি করবে। রোজা শুরুর পাঁচ দিন আগে থেকে ৬০ টাকা কেজিদরে ছোলা ও দুই দিন আগে থেকে ১৩৫ টাকা দরে খেজুর বিক্রি করবে। একজন ক্রেতা একসঙ্গে ২ থেকে ৫ কেজি চিনি, মসুরডাল ২ কেজি, ছোলা ১ থেকে ৪ কেজি, পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল এবং এক কেজি খেজুর কিনতে পারবে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা শহরে একজন ডিলার ছাড়া বাকি ২৪ ডিলার এখনও টিসিবির ভোগ্যপণ্য বিক্রি শুরু করেনি। নিয়ম অনুযায়ী সকল ডিলার ২৫ এপ্রিল হতে নির্দিষ্ট স্থানে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করবে।
নীলফামারী শহরের আনন্দবাবুর পুল পয়েন্টের টিসিবির ডিলার অভি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সত্যেন্দ্রনাথ রায় বলেন, কোন ডিলার রংপুর ডিপো থেকে টিসিবির ভোগ্যপণ্য উত্তোলন করেছে কিনা জানি না। তবে আমি নিয়ম অনুযায়ী আমার ডিলারের কোটার পণ্য উত্তোলন করে ২৫ এপ্রিল হতে বিক্রি শুরু করেছি। নীলফামারী জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে জেলার ২৫ ডিলার টিসিবির পণ্য নায্যমূল্যে বিক্রি করবে।