ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আসাদুজ্জামান সুহান

চিরঞ্জীব মার্ক টোয়েন

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

চিরঞ্জীব মার্ক টোয়েন

পৃথিবীর বুকে এমন কিছু কিছু মানুষ আসে, যারা মৃত্যুর পরেও চিরঞ্জীব। তারা দূর আকাশের বুকে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বসে আছেন। আমার তাঁদের দেওয়া উজ্জ্বল আলোয়, আলোকিত হই। আজ এমনি একজন চিরঞ্জীব উজ্জ্বল নক্ষত্রের কথা স্মরণ করছি, যিনি মৃত্যুর ১০৯ বছর পরেও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা নিয়ে কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে আছেন। তিনি হলেন বিশ্ব বিখ্যাত মার্কিন রম্য লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সুবক্তা মার্ক টোয়েন। যদিও এটা তাঁর ছদ্মনাম কিন্তু তিনি এই নামেই সারা বিশ্বব্যাপী পরিচিত। উনার প্রকৃত নাম হচ্ছে ‘স্যামুয়েল ল্যাঙ্গহোর্ণ ক্লিমেন্স’ কিন্তু এই নামে খোদ আমেরিকার সাধারণ মানুষ পর্যন্ত চিনতে পারবে না। তবে মার্ক টোয়েন ছদ্মনাম নামটি পৃথিবীর বুকে এতোটাই পরিচিত, যা সত্যি এক অবাক বিস্ময়। পৃথিবীর বুকে আর কোন ছদ্মনাম এতোটা জনপ্রিয় হয়ে উঠে নাই। বই পডুয়া এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না, যিনি মার্ক টোয়েন এর নাম শুনেন নাই। আমেরিকার মিসিসিপি এলাকায় নাবিকদের পরিভাষা হচ্ছে মার্ক টোয়েন, যার অর্থ ‘১২ ফুট গভীর জল।’ ক্লিমেন্স ১৮৫৭ সালে মিসিসিপি নদীতে স্ট্রীমবোট চালকের কাজ করার সময়ে তিনি এই কাজের প্রেমে পড়ে যান। একজন নাবিক হয়ে সমুদ্র পথে সারা বিশ্ব ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেন। তখন তিনি নাবিক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে লেখালেখিতে নিজের ছদ্মনাম নেন ‘মার্ক টোয়েন’। পরবর্তীতে এই নামেই তিনি বিশ্ববিখ্যাত হয়ে যান আর উনার আসল নাম ঢাকা পড়ে যায়। যদিও তিনি নাবিক পেশায় বেশিদিন ছিলেন না। নাবিক হয়ে সমুদ্র পথে বিশ্ব ভ্রমণের স্বপ্ন পূরণ না হলেও তিনি অভিযাত্রী হয়ে সমুদ্র পথে বিশ্ব ভ্রমণ করে ছিলেন। ৩০ নবেম্বর, ১৮৩৫ সালে ফ্লোরিডার মিসৌরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২১ এপ্রিল, ১৯১০ সালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রিডিং, কানেকটিকা শহরে মৃত্যুবরণ করেন। টোয়েন সাত ভাইবোনের মধ্যে ছিলেন ষষ্ঠ। তিনি ৭ বছর বয়সে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১১ বছর বয়সে তার বাবা মার্শাল (৪৯) নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তখন মার্ক টোয়েন বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দেন। উনার শৈশব দারিদ্র্য আর দৈন্যে প্রতিকূল পরিবেশে কেটেছে। পিতা মারা যাওয়ার পর পরিবারের অর্থ উপার্জনে সাহায্য করার জন্য কিশোর টোয়েন ১২ বছর বয়স থেকেই স্টোর ক্লার্ক ও ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ শুরু করেন। দরিদ্রতার কারণে কখনো তিনি নৌকার মাঝি আবার কখনো তিনি খনি শ্রমিকের কাজ পর্যন্ত করেছিলেন। তিনি আইন বিষয়ে লেখাপড়া করলেও সেটা নিয়ে খুব বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ‘হানিবাল কুরিয়ার’ নামক স্থানীয় একটি পত্রিকায় কিছুদিন খাদ্যের বিনিময়ে টাইপসেটার হিসেবে কাজ করেন। সেখান থেকে চলে আসেন তার বড়ভাই ওরিয়ন ক্লেমন্সের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘হানিবাল ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন’ পত্রিকায়। ওই পত্রিকায় টাইপিং-এর পাশাপাশি লেখালেখি আর সম্পাদনার সুযোগ পান। মূলত এখান থেকেই উনার লেখালেখির শুরু হয়। তবে তখন তিনি লেখক হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন নাই। লেখালেখিতে উনি জনপ্রিয় হয়ে উঠার আগে জীবনের অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়। উনার সংগ্রামী জীবনের অনেক বাস্তব ঘটনা গুলো উনার লেখালেখিতে উঠে এসেছে। তিনি ধারণা করতেন, উনার কঠিন সংগ্রামী জীবনের কারণেই তিনি বিশ্ব বিখ্যাত হতে পেরে ছিলেন। যে মার্ক টোয়েনের শৈশব ছিল বিবর্ণ, তিনি আমেরিকার শিশু-কিশোরদের জীবন বর্ণিল ও আনন্দমুখর করতে অসংখ্য সাহিত্য রচনা করে ছিলেন। মার্ক টোয়েনের মূল পাঠক ছিল আমেরিকার শিশু কিশোর। উনার অধিকাংশ সাহিত্যকর্মগুলো ছিল হাস্যরসে ভরপুর। সব বয়সের পাঠক উনার ভক্ত ছিলেন, তবে শিশু কিশোরদের কাছে উনার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। আমেরিকার অভিভাবকরা শিশু কিশোরদের মার্ক টোয়েনের বই পড়তে দিতে চাইতেন না। তাদের ধারণা ছিল, ওরা এমনিতেই দুষ্টুমি করে আর উনার বই পড়ে আরো বেশি দুষ্টু প্রকৃতির হবে। এই বিষয়ে একজন সাংবাদিক মার্ক টোয়েনের কাছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আমার সন্তানদের আমার বই পড়তে দেই না।’ বিষাদময় জীবন নিয়েও টোয়েন ছিলেন হাস্যরসে ভরপুর। তিনি ছিলেন ওই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় বক্তা। উনার হাস্যরসাত্বক বক্তৃতা শুনতে বিভিন্ন দেশের ছেলে বুড়োর ভীড় হতো। উনি বক্তৃতা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রোতাদের জন্য এমন কিছু হাসির খোরাক রাখতেন, যেন তারা প্রাণবন্ত আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন। তিনি খুব সাধারণ বিষয়গুলো অসাধারণ বাচনভঙ্গিতে বলতেন, কেউ কেউ হাসতে হাসতে কেঁদে ফেলার আবার কেউ কেউ হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে মেঝেতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত আছে। এই প্রসঙ্গে একজন সাংবাদিক উনাকে ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, ‘আপনার ভাঁড়ামি আমার বেশ ভালো লাগে। আপনিই সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম সাহিত্যিক ভাঁড়।’ টোয়েন এমন কথায় রেগে না গিয়ে হেসে হেসেই বলেছিলেন, ‘আমিও একসময় সাংবাদিক পেশায় নিয়োজিত ছিলাম। এই পেশায় দৈন্যদশা আমি দেখেছি। আমার ভাঁড়ামির কারণেই আপনাদের পত্রিকাগুলো চলে। আমার ভাঁড়ামির গল্প ও বক্তৃতার কথাগুলো পড়তেই মানুষ আপনাদের পত্রিকাগুলো কিনে।’ মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মার্ক টোয়েন লেখালেখি ও চমকপ্রদ বক্তৃতার কারণে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন। তখন তিনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করে যাচ্ছিলেন। এভাবে একটা সময়ে তিনি আমেরিকার সেরা ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠেন। এই বিষয়ে তিনি একটা বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘আমি দৈন্যদশার মাঝেই বেড়ে উঠেছি কিন্তু আমার পাঠক ও শ্রোতাদের কারণে আজ আমি ধনী ব্যক্তি। আমি মাঝেমধ্যে ভেবে অবাক হই, কেন মানুষ আমার ফালতু লেখাগুলো পড়ে এবং আমার অহেতুক কথাবার্তা শুনতে তাদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। সম্ভব আমার লেখা ও বক্তৃতার মাঝে কোন যাদু আছে, যা আমার পাঠক ও শ্রোতাদের সম্মোহিত করে।’ এমন উদার কথাবার্তা কারণে সমালোচকদের মুখ বন্ধ হয়ে যেত। তারা তখন তার প্রশংসার মুখরিত থাকতো। তিনি ছিলেন উনিশ শতকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম একজন। তার সময়ে তিনি আমেরিকার সবচেয়ে বড়ো তারকা ছিলেন। আমেরিকান লেখক উইলিয়াম ফকনার বলেছিলেন, ‘টোয়েন ছিলেন প্রথম ও প্রকৃত আমেরিকান লেখক। তার পরে আমরা সবাই তার উত্তরাধিকারী।’ মার্ক টোয়েনের সাহিত্যকর্মের তালিকা ছিল বেশ দীর্ঘ। এসবের বেশিরভাগই পাঠকপ্রিয়তা পেয়ে ছিল। তবে আলাদা করে যদি বলতে হয়, ‘অ্যাডভেঞ্চার্স অব টম সয়্যার আর অ্যাডভেঞ্চার্স অব হাকলবেরি ফিন এর জন্য বিশ্বজোড়া সমাদৃত হোন। শত বর্ষ পেরিয়েও, এখনো পাঠক তার রোমাঞ্চে বুঁদ হয়ে থাকেন। তার রম্য রচনার জন্য এখনো তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এই বিষয়ে বলা যায়, মার্ক টোয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী শুধুমাত্র মার্ক টোয়েন। তার উক্তিগুলো এখনো মানুষের মুখে মুখে থাকে। যেকোন সাহিত্য আলোচনায় টোয়েনের উক্তিগুলো চলে আসে। তার উক্তিগুলো যেমন মজার আবার তেমনি শিক্ষণীয়। তার একটি জনপ্রিয় উক্তি হচ্ছে ‘সবার সাথে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে সে ব্যক্তিত্বহীন’। মার্ক টোয়েন লেখালেখিতে শীর্ষে অবস্থান করলেও তিনি ব্যবসায়ে ছিলেন চরম ব্যর্থ। তার জীবনের আয়ের অধিকাংশ টাকা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় ব্যয় করতেন। অটোমেটিক টাইপসেটিং মেশিন বানাতে দুই লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে ছিলেন। ওই সময়ে দুই লাখ মার্কিন ডলারের বর্তমানে মূল্যমান কতো, সেটা বলা বাহুল্য। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হতে এবং পাওনাদারদের চাপে এক সময় আদালত কর্তৃক নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করান। যদিও পরে সকল পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করেন। তার জীবন ছিল বিষাদে ভরা বৈচিত্র্যময় জীবন। মানুষকে আনন্দে ভরপুর রাখতে নিরন্তর চেষ্টা করে যাওয়া মানুষটিকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আশপাশের মানুষদের সুখী রাখার প্রয়োজনে নিজেকে সুখী রাখতে হবে। কষ্টে থাকা মানুষদের কেউ পছন্দ করে না।’ মার্ক টোয়েনের অধিকাংশ সাহিত্যকর্ম নিজের কঠিন বাস্তব জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। তিনি কষ্টের কথাগুলো এতো সুন্দরভাবে লিখতেন, যা কষ্টের বদলে হাসির খোরাক হয়ে উঠে। কষ্টগুলো আর কষ্ট মনে হতো না। এই কাজে তিনি অনেক সফল ছিলেন। নিজের দেউলিয়া হওয়ার কঠিন সময়ের কাহিনী তিনি এতটাই হাস্যরসাত্মকভাবে লিখে ছিলেন। তিনি যে কষ্টকে জয় করতে পারেন, এটাই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। মার্ক টোয়েন ১৮৬৭ সালে সমুদ্র পথে প্যালেস্টাইন যাওয়ার সময় একজন যুবকের পকেটে একটি মেয়ের ছবি দেখেই প্রেমে পড়ে যান। এটাকে তিনি আখ্যায়িত করেছিলেন, ছবি দেখে প্রেম। ১৮৭০ সালে ওই ছবির মেয়েটির সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার প্রিয়তমা স্ত্রীর নাম ছিল অলিভিয়া ল্যাংডন। অলিভিয়া ছিলেন প্রগতিশীল মানসিকতার অধিকারী। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। ১৯০৫ সালে প্রিয়তমা স্ত্রী অলিভিয়ার মৃত্যুর পর তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। তখন নিজেকে খুব নিঃসঙ্গ অনুভব করতেন। ওই সময়ে তিনি লেখালেখি অনেকটাই বন্ধ করে দেন। তিনি অলিভিয়ার স্মরণে তাদের দাম্পত্য জীবনের অনেক ঘটনা নিয়ে ১৯০৬ সালে লিখেছিলেন ‘ইভস ডায়েরি’। মূলত এটাই ছিল উনার জীবনের শেষ লেখা কোন বই। ১৯৩৫ সালে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যাওয়ার সপ্তাহখানেক পরেই মার্ক টোয়েনের জন্ম। ১৯১০ সালে আবারো হ্যালির ধূমকেতুর আবির্ভাব হওয়ার দুই বছর আগে ১৯০৮ সালে মার্ক টোয়েন তার মৃত্যুর বিষয়ে একটা ভবিষ্যতবাণী করেন। যা তখন মিডিয়ায় বেশ আলোচিত হয়। উনার ভবিষ্যতবাণী ছিল এমন, ‘১৮৩৫ সালে হ্যালির ধূমকেতুর সাথেই আমি পৃথিবীতে এসেছিলাম। আগামী বছর এটি আবার আসছে, এবং আমি আশা করি এর সাথেই আমি আবার চলে যাবো। হ্যালির ধূমকেতুর সাথে সাথেই যদি আমার প্রস্থান না ঘটে তাহলে এটি হবে আমার জীবনের সবচে বড় হতাশাপূর্ণ ঘটনা। কোন সন্দেহ নেই যে স্রষ্টা বলেছিলেন: ‘এই হলো দুই দায়িত্বজ্ঞানহীন উন্মাদ, এরা এসেছিলো একসাথে, এদের যেতেও হবে একসাথে।’ আশ্চর্যজনকভাবে তার ভবিষ্যতবাণী সত্য করে তিনি ১৯১০ সালের ২১ এপ্রিল হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। আর ওইদিনটি ছিল হ্যালির ধূমকেতু পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি দূরত্বে পরের দিন। টোয়েনের মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ওই সময়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হাওয়ার্ড ট্যাফ্ট বলেছিলেন, ‘মার্ক টোয়েইন অজস্র মানুষকে বুদ্ধিদীপ্ত আনন্দ দান করে গেছেন এবং তাঁর সৃষ্টিকর্ম অনাগত অসংখ্য মানুষকেও ভবিষ্যতে আনন্দ দান করে যেতে থাকবে.. তিনি আমেরিকান রম্য করতেন, কিন্তু ইংরেজরা সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষজনও তাঁর নিজ দেশের মানুষের মতই তাঁর কাজের প্রশংসা করেছেন। তিনি আমেরিকান সাহিত্যের একটি চিরস্থায়ী অংশ।’ আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে তাদের পারিবারিক ‘উলডন সমাধি’তে টোয়েন সমাধিত আছেন। উনার নামের সাথে সঙ্গতি রেখে উনার সমাধিস্থলে একটি ১২ ফুট দৈর্ঘ্যরে সমাধি স্তম্ভ স্থাপন করেন তার মেয়ে ক্লারা। তিনি ছিলেন ক্ষণজন্মা ও চিরঞ্জীব এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। মৃত্যুর শত বর্ষ পরেও তিনি কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বেঁচে আছেন।
×