ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গাড়ি চাপায় বাইক চালকও আহত

রাজধানীতে সড়কে প্রাণ গেল ভার্সিটি ছাত্রীর

প্রকাশিত: ১১:১৪, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

রাজধানীতে সড়কে প্রাণ গেল ভার্সিটি ছাত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার সড়ক দুর্ঘটনায় যানজটের নগরী খোদ রাজধানীতেই প্রাণ গেল মাত্র একুশ বছর বয়সী ফাহমিদা হক লাবণ্য নামের বেসরকারী ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর। নিহত ছাত্রী পাঠাও কোম্পানির মোটরসাইকেলে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলের চালকও আহত হয়েছেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে ভিড় করেছেন। তারা কাভার্ডভ্যান চালক ও মোটরসাইকেলের চালককে গ্রেফতারের দাবি করেছেন। এদিকে ঢাকার পল্লবীতে বাস চাপায় আতাউল ইসলাম নামের এক যুবক নিহতের ঘটনার প্রায় সোয়া এক বছর পর সেই ঘাতক বাসের চালক জসীমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই। বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে শেরেবাংলা নগর থানাধীন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পাশের রাস্তায় মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই ছাত্রী পাঠাও মোটরসাইকেলে করে মহাখালী ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় অনবধানবশত মোটরসাইকেলটি একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যদিও অনেকেরই দাবি, কার্ভাডভ্যানটি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পবিরারের বরাত দিয়ে শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক প্রবীর রঞ্জন ধর জনকণ্ঠকে জানান, দুর্ঘটনায় ওই ছাত্রীর মাথা থেতলে গেছে। নিহত লাবণ্য ঘটনার সময় পাঠাও মোটরসাইকেলে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। পরিবারটি শ্যামলীর ৩ নম্বর সড়কের ৩৩ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিজস্ব ফ্ল্যাটে বসবাস করে। নিহতের পিতার নাম এমদাদুল হক। তিনি ব্যবসায়ী। দুই ভাই বোনের মধ্যে নিহত লাবণ্য বড় ছিল। ফারানুল হক নামে লাবণ্যের এক ছোট ভাই আছে। লাবণ্য ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বাড়ি ময়মনসিংহে। পাঠাও চালকের সন্ধান মিলছে না। এমনকি তার মোটরসাইকেলটিরও হদিস নেই। চালকের সন্ধান চলছে। লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মর্গে ব্র্যাকের শিক্ষার্থীদের ভিড়, উবার রাইডারকে খুঁজছে পুলিশ। এদিকে লাবণ্যকে দেখতে হাসপাতাল মর্গে ভিড় করেছেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী। তারা ঘাতক কাভার্ড ভ্যানচালক ও উবার রাইডারের বিচারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, ওই মোটরসাইকেল চালকের নাম সুমন। এদিকে বাস চাপায় তরুণী নিহতের ঘটনার প্রায় সোয়া এক বছর পর সেই ঘাতক বাসের চালককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই। পিবিআই ঢাকা মেট্রোর উত্তর বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জনকণ্ঠকে জানান, গত ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে দশটার দিকে মিরপুর মডেল থানাধীন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সামনে থেকে ঘাতক বাসটির চালক জসিমকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। তার পিতার নাম হান্নান। বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা থানাধীন কোড়ালিয়া গ্রামে। গত বছরের ১২ জানুয়ারি সন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে পল্লবী থানাধীন সাড়ে এগারো বাসস্ট্যান্ডে ন্যাশনাল লাইব্রেরি এ্যান্ড স্টেশনারির সামনে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুত গতির অছিম পরিবহনের একটি বাসের চাপায় আতাউল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। মামলাটি থানা পুলিশ তদন্ত করে চালককে গ্রেফতার করতে না পেরে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দেয়। আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে ঘাতক বাসটির চালককে গ্রেফতারের পাশাপাশি মামলাটির তদন্তভার পিবিআইকে দেয়।
×