ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশে শিশুদের উপযোগী বইয়ের অভাব রয়েছে

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

দেশে শিশুদের উপযোগী বইয়ের অভাব রয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে পাঠ্যবইয়ের বাইরে শিশুদের উপযোগী গল্পের বইয়ের অভাব রয়েছে। এটি আমাদের একটি সঙ্কট। তাই সামাজিক অবক্ষয়রোধে শিশুদের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও উন্নত সংস্কৃতি তৈরির উদ্যোগ নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যঞ্জক। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আন্তর্জাতিক সংস্থা রুম টু রিড বাংলাদেশের উদ্যোগে ১০টি শিশুতোষ গল্পের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ইউএসডিএর অর্থায়নে এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর সহায়তায় কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় চলমান রুম টু রিড বাংলাদেশের শিশুশিক্ষা বিষয়ক প্রকল্প ‘ম্যাকগভার্ন-ডোল ইন্টারন্যাশনাল ফুড ফর এডুকেশন এ্যান্ড চাইল্ড নিউট্রিশন প্রোগ্রাম’র এ আওতায় ১০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে একটি আনন্দঘন পরিবেশে হয়ে গেল সেই বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। প্রকাশিত বইগুলোর হচ্ছে- ‘বাদল ও মৎস্যকন্যা’, ‘কলি আর ধলির গল্প’, ‘বন বিহঙ্গের কথা’, ‘ভূতের বাড়ি ফেরা’, ‘চাঁদের বুড়ি ও জলপরি’, ‘ডিং ও টিটিং’, ‘টোট-টেং’, ‘তাতাই ও যক্ষবাবু’, ‘ওটা কোথায়’ এবং ‘আলোর খোঁজে সমুদ্রতারা’। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত থেকে শিশুতোষ গল্পের বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন করেন এবং লেখক ও আঁকিয়েদের শিশুবান্ধব সৃজনশীল লেখার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি রুম টু রিড খুবই সফলভাবে প্রাথমিক স্তরে শিশুদের পড়ার দক্ষতা ও পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার কাজ করছে। শিক্ষাক্ষেত্রে রুম টু রিড বাংলাদেশসহ বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে। বাংলাদেশে পাঠ্যবইয়ের বাইরে শিশুদের উপযোগী গল্পের বইয়ের অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে রুম টু রিড শিশুদের উপযোগী মানসম্মত বই তৈরি করার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিশুদের জন্য সে সুযোগ তৈরি করে চলেছে এবং আমি মনে করি সামাজিক অবক্ষয়রোধে শিশুদের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও উন্নত রুচি-সংস্কৃতি তৈরি করতে রুম টু রিডের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যঞ্জক। শিশুদের মধ্যে পাঠের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একই সঙ্গে আমি রুম টু রিডকে আহ্বান করছি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য। রুম টু রিড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও অনুষ্ঠানের সভাপতি রাখী সরকার স্বাগত বক্তব্যে মানসম্মত শিক্ষার উন্নয়ন এবং শিক্ষালাভের জন্য শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ ও শিশুবান্ধব পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
×