ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সব পেশাতেই নারীর ক্ষমতায়ন আজ দৃশ্যমান ॥ স্পীকার

প্রকাশিত: ০৯:৪২, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

সব পেশাতেই নারীর ক্ষমতায়ন আজ দৃশ্যমান ॥ স্পীকার

সংসদ রিপোর্টার ॥ সব পেশাতেই নারীর ক্ষমতায়ন আজ দৃশ্যমান বলে দাবি করে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে আসছে নারীরা। পারিবারিকভাবেই এখন নারীরা অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত। সুযোগ ও সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা প্রক্রিয়া সহজ হলে তারা জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখতে পারবে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ ওমেন অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডব্লিউসিসিআই) আয়োজিত ‘ওমেন’স ইকনোমিক এ্যামপাওয়ারম্যান্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নারী উদ্যোক্তা ফেরদৌসী সুলতানা বেগম এবং শারমিন ইসলাম। সেলিমা আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, আয়েশা ফেরদৌস এমপি, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী, নারী উদ্যোক্তা রোকেয়া কবির এবং তাসলিমা সুলতানা খানম। স্পীকার বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য নারী শিক্ষার প্রসার ও নারী প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরী। পরনির্ভরশীলতা কাটিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের কোন বিকল্প নেই। সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমায় নারীরা অন্তরায় কাটিয়ে সকল বাঁধা বিপত্তির উত্তোরণ ঘটিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে। এখন প্রয়োজন নিরাপদ কর্মপরিবেশ। তিনি বলেন, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা যুগে যুগে ছিল। সেসব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে পশ্চাৎপদ ও প্রান্তিক নারীগোষ্ঠীকে উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে, তবেই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন হবে। সেলাই, ব্লক, বাটিকই শুধু নয়, ঋণ সুবিধা পেলে অন্যান্য ব্যবসায়ও নারীরা সক্ষমতার স্বাক্ষর রাখতে পারবে। বারবার নদী ভাঙ্গনের পরও এ দেশের নারীরা পুনর্বার ঘর বাঁধে। সুতরাং এদেশের নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কিছু সময়ের বিষয়। ড. শিরীন শারমিন বলেন, নারী উদ্যোক্তাগণ উৎপাদিত পণ্য যাতে সহজে বাজারজাত করতে পারে সেই উদ্যোগ নিতে হবে। ‘জয়িতা’ এর মতো প্রতিষ্ঠান উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারলে পণ্য বিপণনে নতুন মাত্রা যোগ হবে এবং নতুন নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি হবে। তিনি সমাজে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। জেন্ডার বেইজড সহিংসতা প্রতিরোধের পাশাপাশি প্রতিকারের উপায় বের করা উচিত।
×