ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নান্দাইলে প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশু ধর্ষিত

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

নান্দাইলে প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশু ধর্ষিত

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ, ২৫ এপ্রিল ॥ উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রী ও ১৩ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পৃথক দুইটি ঘটনায় বৃহস্পতিবার নান্দাইল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দুই অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জানা যায় শিশুটি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জানা যায়, উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর শ্বশুর বাড়ি। ছয় বছর ধরে স্বামী বিদেশে অবস্থান করায় বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গেই তিনি বসবাস করে আসছেন। এ অবস্থায় পাশের বাড়ির চাচাত দেবর আব্দুল মতিনের ছেলে আবুল বাশার (২২) প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্তের পাশপাশি কুপ্রস্তাব দিত। এতে রাজি না হওয়ায় ভয়ভীতি ও হুমকি দিত। এ অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তিনি নিজ কক্ষে একাকী ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় আবুল বাশার তার কক্ষে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে চিৎকার দিলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। নির্যাতিতা নারী জানায়, স্থানীয় সালিশকারীদের পরামর্শে তিনি মামলা করার জন্য থানায় আসার পথে অভিযুক্ত ধর্ষকের চাচা মোশারফ হোসেন, ফুফু আছিয়া বেগম, বোন লিজা আক্তার তার পথরোধ করে চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে মাটিতে ফেলে মারধর করে এবং মামলা করলে দেখে নিবে বলে শাসিয়ে যায়। এ বিষয়ে নান্দাইল থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুরুল হুদা বলেন, ধর্ষণের পাশপাশি মারধরের ঘটনায় চারজনকে অভিযুক্ত করে মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে সিংরইল ইউনিয়নে প্রতিবেশী দুই স্কুল ছাত্রের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে তেরো বছরের এক শিশু আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন গ্রাম্য মাতাব্বরদের কাছে ঘুরেও এর কোন আইনী সহায়তা না পেয়ে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, ধর্ষিতা মেয়েটির বাবা একজন দিনমজুর। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে। এভাবে দু’জনের সামান্য আয়ে তাদের সংসার চলে। শিশুটি জানায়, কয়েকমাস আগে পাশের বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে যাওয়ার পথে প্রতিবেশী আকরাম মিয়ার পুত্র রাকিব (১৫) ও চান মিয়ার পুত্র মোবারক হোসেন (১৫) তাকে গলায় ছুরি ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। কুড়িগ্রামে স্কুলছাত্রী স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, রাজীবপুরের দুর্গম চরের এক স্কুল ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আজিবর রহমান (৩৫) নামের এক লম্পট নিজের ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীর গলায় ধারাল অস্ত্র ঠেকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে স্বজনরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসকরা। গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে ওই ঘটনাটি ঘটে উপজেলার দুর্গম শংকর মাদবপুর চরে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে আসার পর ধর্ষক আজিবর রহমান ও তার বাবা ইসমাইল হোসেন নির্যাতিত দিনমজুর পরিবারটির ওপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করে যাতে থানা পুলিশে যেতে না পারে। সিরাজগঞ্জে পরীক্ষার্থী স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, তাড়াশে পরীক্ষা কেন্দ্রে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তাড়াশ মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক কম্পিউটার প্রদর্শক মোজাহারুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার পরীক্ষা চলাকালে তাড়াশ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। যৌন হয়রানির শিকার ওই ছাত্রীর কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনি তাড়াশ মহিলা ডিগ্রী কলেজের বিএম শাখার ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং পরীক্ষার চলাকালে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কম্পিউটার প্রদর্শক মোজাহারুল ইসলাম অনৈতিকভাবে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। পাবনায় স্কুলছাত্রী নিজস্ব সংবাদদাতা পাবনা থেকে জানান, সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানায় ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ ধর্ষক কলেজ ছাত্র অনিক হাসানকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। অনিক হাসান একই উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুল মমিনের ছেলে। সে মামার বাড়ি থেকে দুলাই ডাঃ জহুরুল কামাল কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, মঙ্গলবার মোবাইলে গান তোলার কথা বলে কৌশলে ওই ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে এনে অনিক ধর্ষণ করে। বুধবার ওই ছাত্রীর মা আমিনপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে। বুধবার রাতেই ধর্ষক অনিক হাসানকে পুলিশ আটক করে। বাগেরহাট স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, মোরেলগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে জুয়েল শেখ (২৮) নামে এক যুবককে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে বারইখালী গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে। গুয়াবাড়িয়া গ্রামের এক বিধবার (২৫) দায়ের করা মামলায় পুলিশ জুয়েলকে গ্রেফতার করে বাগেরহাট কোর্টে সোপর্দ করে। মামলায় বলা হয়েছে, জুয়েল শেখ এক বছরের অধিক সময় ধরে বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সামাজিকভাবে স্বীকৃতি চান তিনি। কলাপাড়ায় নববধূ নিজস্ব সংবাদদাতা কলাপাড়া থেকে জানান, স্বামী নিয়ে খালুর বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নববধূ। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের বেতমোড় গ্রামে বুধবার রাতে এ গৃহবধূর সর্বনাশ করা হয়েছে। স্বামীসহ স্বজনদের মারধর করে ওই গ্রামের বখাটে ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক রফিক এ বধূকে বাড়ি সংলগ্ন বিলে নিয়ে ধর্ষণ করে। ডাক-চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে সহযোগী অপর বখাটেরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী থানায় বেতমোর এলাকার দেলোয়ারের ছেলে রাসেল, হাকিম ফকিরের ছেলে রফিক, এছাহাক হাওলাদারের ছেলে খালেক এবং মন্নান গাজীর ছেলে জাফরের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
×