ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি আরও বাড়বে

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি আরও বাড়বে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভবিষ্যতে ভর্তুকি আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, দেশের কৃষি উন্নয়নে যান্ত্রিকীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যান্ত্রিকীকরণের প্রসার ঘটাতে সরকার উন্নয়ন সহায়তা বা ভর্তুকি দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটরিয়ামে তিন দিনের ‘জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা-২০১৯’ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অর্জন, সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখনও কৃষির গুরুত্ব অনেক বেশি। জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৭ থেকে ১৮ ভাগ। বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, কৃষির যে অর্জন তা কোন জাদুর কাঠিতে অর্জন হয়নি। এখানে বর্তমান সরকারে অনেক অবদান রয়েছে। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারও আগের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করছেন।’ সরকারের ধান ক্রয় প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারীভাবে ধান ক্রয়ে কৃষকদের লাভ হয় না। লাভবান হয় মিলাররা। এজন্য কৃষি উপকরণের ওপর আরও বেশি প্রণোদনা ও সহায়তা দেয়ার চিন্তা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশ এখন সত্যিকার উন্নয়নের মহাসড়কে। কৃষিকে সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করতে যান্ত্রিকীকরণের কর্মকা-কে বেগবান করতে হবে।’ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মুঈদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রফেসর ড. মঞ্জুরুল আলম। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন পরিকল্পনা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার ম-ল, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর, এসিআই মোটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারী ও দেশী কৃষি যন্ত্রের উদ্ভাবক কৃষক আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প পরিচালক শেখ মোঃ নাজিম উদ্দিন। কেআইবি চত্বরে ‘যান্ত্রিকীকরণই গড়বে আধুনিক ও লাভজনক কৃষি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ মেলার উদ্বোধন করে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন কৃষিমন্ত্রী। এর আগে মেলা উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে শুরু হয়ে কেআইবি চত্বরে শেষ হয়। মেলায় সরকারী ৮টি ও বেসরকারী ২১টি প্রতিষ্ঠানের ২৭টি স্টল ৩টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। বিভিন্ন প্রকার আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার সম্পর্কে প্রযুক্তি-নির্ভর প্রদর্শনী সাজিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা। এ মেলার মাধ্যমে কৃষক ও কৃষি-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সাশ্রয়ী, লাভজনক ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। দ্বিতীয়বারের মতো এ মেলার আয়োজন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয় ও ডিএইর খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প।
×