ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কেঁপে উঠল মঙ্গলগ্রহ, এই প্রথম শোনা গেল গোঙানিও

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

কেঁপে উঠল মঙ্গলগ্রহ, এই প্রথম শোনা গেল গোঙানিও

মঙ্গলগ্রহের ভেতর থেকে এই প্রথম শোনা গেল ‘চাপা কান্না’, ‘গোঙানি’র আওয়াজ! থরথর করে কেঁপে উঠল লাল গ্রহটি। শুধু দিন নয়, দফায় দফায় সেই গোঙানির আওয়াজ শোনা যায় চারদিন। এটি অনুভব করার জন্য প্রায় ৫০ বছর ধরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। যার নাম ‘মার্সকোয়েক’। এ কম্পন থেকে বোঝা গেল মঙ্গলগ্রহে এখনও বদলাচ্ছে গঠন, বদলাচ্ছে ভেতরেও। ভূমিকম্পে যেমন থরথর করে কেঁপে ওঠে পৃথিবী, দুলে ওঠে মাটি, ফুলেফেঁপে ওঠে সাগর-মহাসাগর; এই প্রথম দেখা গেল ঠিক তেমনটাই ঘটে মঙ্গলগ্রহেও। মঙ্গলের ভেতরের সেই চাপা কান্না শুনল নাসার পাঠানো মহাকাশযান ‘ইনসাইট’র ল্যান্ডারে থাকা ‘সিসমিক এক্সপেরিমেন্ট ফর ইন্টেরিয়র স্ট্রাকচার’ (সিস) যন্ত্রটি। ফরাসী এই যন্ত্রটি শুধু সেই চাপা কান্না শুনেই চুপ করে থাকেনি, রেকর্ড করে তা পাঠিয়েও দিয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশনে।নাসা জানায়, মোটামুটি ভালভাবে তা শোনা গেছে গত ৬ এপ্রিল। তার আগে, পরে আরও তিন দিন ওই শব্দ শুনেছে সিস। যদিও তা খুবই নিচু স্বরে। গত ১৪ মার্চ, ১০ এপ্রিল এবং ১১ এপ্রিলে। মঙ্গলে ‘ইনসাইট’ পাঠানোর ১২৮তম দিনে ঘটেছে এই ঘটনা। যা পৃথিবীর সাড়ে ১২৫ দিনের সমান। কারণ, পৃথিবীর দিন-রাতের আয়ু যতটা, মঙ্গলের দিন-রাতের আয়ুও প্রায় ততটাই। পৃথিবী নিজের কক্ষপথে লাটিমের মতো ঘুরতে যে সময় নেয় (২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট), তার চেয়ে সামান্য কিছুটা বেশি সময় নেয় লাল গ্রহ। ঘণ্টার হিসেবে তাই মঙ্গলের একটি দিন (দিন ও রাত মিলে) আমাদের চেয়ে সামান্য একটু বড়। তার দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট থেকে ২৪ ঘণ্টা ৩৯ মিনিটের মধ্যে। ওয়াশিংটনে নাসার সদর দফতর থেকে মিশন অপারেশন্সের সায়েন্স অপারেশন ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানী অমিতাভ ঘোষ আনন্দবাজার ডিজিটালকে ই-মেলে লেখেন, এটা একটা অসাধারণ সাফল্য। অভূতপূর্ব। এই প্রথম মঙ্গলের কম্পন ধরা পড়ল আমাদের কোন যন্ত্রে। লাল গ্রহের অন্দরে এখনও কী কী ঘটে চলেছে, তা জানাতে এই ঘটনা খুবই সাহায্য করবে। কম্পন যেহেতু তরঙ্গই, তাই তা আরও ছড়াবে। আর তা যত ছড়াবে ততই আমাদের পক্ষে মঙ্গল। -আনন্দবাজার
×