অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারে তারল্য সঙ্কটের ব্যাপকতা কম হলেও ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ কেউ এটির ফায়দা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর সবদেশেই মুদ্রাবাজার ও শেয়ারবাজার একটি অপরটির পরিপূরক। কিন্তু আমাদের দেশে এই বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এই কারণে শেয়ারবাজারে অনেক সময় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে থাকে। বুধবার বিএসইসির কনফারেন্স রুমে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) নির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ড. খায়রুল হোসেন বলেন, ২০১০ সালে ধসের পর শেয়ারবাজারে সংস্কারে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামীতে তিন মাসের মধ্যে সুকুক ফান্ড, স্মল ক্যাপ বোর্ড ও শর্ট সেলের খসড়া ফান্ডের ভেটিং শেষে তা চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারে গ্রামীণ ফোনের ভ্যাট নিয়ে বিটিআরসির চিঠি পাঠানোকে কেন্দ্র করে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। গ্রামীণ ফোনে ভ্যাটের বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। তাই এই সময়ে এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাজারকে নেতিবাচক দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইউনাইটেড পাওয়ারের শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়াটিও বৈধ ছিল না। সেখানে নানা ত্রুটি বিচ্যুতি থাকার কারণে তা বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে টিআইএন নিয়ে বিভ্রান্তিও বাজারকে কিছুটা প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার খুবই সংবেদনশীল। তাই এখানে কোন খবর বিশেষ করে নেতিবাচক হলে তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থার কার ৫টির মতো নতুন কোম্পানি অভিহিত মূল্যের নিচে চলে এসেছে। তিনি বলেন, জনবল সঙ্কটের কারণেই বিএসইসি এখনও পুরোদমে সব কাজকর্ম পরিচালনা করতে পারছে না। এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার ড. হেলালউদ্দিন নিজামী, ড. স্বপন কুমার বালা, মুহাম্মদ কামালজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ, সাইফুর রহমান, মাহবুবুল হক ও আনোয়ারুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: