ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাহিদুর রহমান

পারিবারিক একতা

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

পারিবারিক একতা

মুরব্বিদের মুখে প্রচলিত একটি প্রবাদ শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ে এ তিন বিধাতা নিয়ে। কার সঙ্গে কার জুড়ি তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই ভাল জানেন। তবুও সামাজিকতার প্রভাবে পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিবাহের মতো শুভ কাজের শুভ সূচনা হয়ে থাকে। পারিবারিক মতামতের ভিত্তিতে এ শুভ কাজের প্রভাব ছিল লক্ষণীয়। প্রযুক্তির বিবর্তনে পৃথিবী যখন হাতের মুঠোয়, তখনই মোবাইল ফোন আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। এর ফল হিসেবে প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক বেড়েছে, বেড়েছে বাড়িতে না জানিয়ে বিয়ের প্রবণতা। এক সময় হয়তো পরিবার মেনে নেয় কিন্তু শুভ কাজের সূচনা কেন জানি অশুভতার প্রতীক হিসেবেই বহন করে। মা-বাবা, দাদা-দাদির দোয়া মুরব্বিদের দোয়া যেন থাকে উপেক্ষিত। এ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, সংসারগুলি টিকছে না। ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকে, এক সময় হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলে একসঙ্গে না থাকার। একটি সংসার ভাঙা মানেই দুটি মনের বিচ্ছেদ তা নয়, দুটি পরিবারের আত্মার আত্মীয়তা মন মানসিকতার বিচ্ছেদও বটে। আর যদি সন্তান থাকে দম্পতির ঘরে তবে ত বলতেই হয় কষ্ট সেখানে সীমাহীন। এ সন্তান নিয়ে চলে মামলা, এক সময় হয়তো মা বা বাবার কাছে থাকার নির্দেশ হয়। কিন্তু নির্দেশে কি আর আবেগ বুঝে? যে সন্তান মা ছাড়া মানুষ হলো সে তো বুঝল না মায়ের আদর কি? মা নামের শ্রদ্ধাটাকে সে অনুধাবন করার সুযোগই পেল না। আর যে সন্তান বাবাকে কাছে পেল না সে বুঝলই না বাবা নামের ছাতাটার অস্তিত্ব। ভাবলে বুঝতে পারবেন সমস্যা হয়তো সামান্য কিন্তু তার প্রভাব ব্যাপক। আমরা যেহেতু সামাজিক জীব তাই আমাদের উচিত পরিবারভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় মনোনিবেশ করা। আমার যে কোন সিদ্ধান্ত যেন একক না হয়, তাতে যেন থাকে পারিবারিক ঐক্য। তবেই আমাদের জীবন হবে সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। কাপাসিয়া, গাজীপুর থেকে
×