ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শুকনো মৌসুমে গাইবান্ধার চরাঞ্চলের পরিবহন টাট্টু ঘোড়ার গাড়ী

প্রকাশিত: ০৩:২৭, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

শুকনো মৌসুমে গাইবান্ধার চরাঞ্চলের পরিবহন টাট্টু ঘোড়ার গাড়ী

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে শুকনো মৌসুমে নদ নদীর পানি শুন্যতায় বিশাল এলাকা জুড়ে থাকে শুধু-ই ধু ধু বালুর চর। এ সময় জেলার নদী বেষ্টিত সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১শ’ ২০টি চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের যাতায়াত ও কৃষি পণ্যসহ প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চরাঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে এ অঞ্চলে একটি কথা প্রচলিত আছে আর তা হচ্ছে ‘চরে যাতায়াতে পাও, না হয় নাও’। অর্থাৎ বর্ষায় নৌকা আর শুকনো মৌসুমে পায়ে হাঁটা। এছাড়া কোন বিকল্প নেই। এ কারণে পরিবহনের সুবিধা না থাকায় এবং তা অত্যান্ত ব্যয় বহুল হওয়ার কারণে চরাঞ্চলের কৃষিজীবি মানুষেরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য, গরু-মহিষের দুধের সঠিক মূল্য পেতে বঞ্চিত হতো। ফলে উর্বর চরাঞ্চলের নদীবাহিত পলি মাটিতে বিপুল পরিমাণ ফসল ফলিয়েও তাদের উৎপাদন ব্যয় মিটিয়ে তা থেকে প্রকৃত লাভ ঘরে তুলতে পারতো না। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো কৃষকরা। ফলশ্রুতিতে কৃষি নির্ভর শ্রমজীবি মানুষরা তাদের কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করতে বাধ্য হতো। জীবন জীবিকার তাগিদে চরাঞ্চলের শ্রমজীবি মানুষকে কর্মের সংস্থানে জেলার বাইরের ছুটতে হতো। কিন্তু এখন অবস্থা ভিন্ন। শুকনো মৌসুমে যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘টাট্টু ঘোড়ার গাড়ী’। যা পরিবহনের ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি চরাঞ্চলের গ্রামীণ অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।
×