ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জোড়া লাগানো ২ কন্যা সন্তানকে বাঁচাতে বাবা-মার আকুতি

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ২১ এপ্রিল ২০১৯

জোড়া লাগানো ২ কন্যা সন্তানকে বাঁচাতে বাবা-মার আকুতি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ জোড়া লাগানো দুই যমজ নবজাতক কন্যা সন্তানকে নিয়ে মানবিক সঙ্কটে ভুগছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের গোপালঝাড় গ্রামের যদুনাথপাড়ার দম্পতি লাল মিয়া ও তার স্ত্রী মনুফা বেগম। সংসার জীবনের প্রথম সন্তান লাভে তারা জোড়া লাগানো নবজাতক দুজনের বেড়ে ওঠা, সন্তানদের জোড়া থেকে পৃথক করা ও তাদের ভবিষ্যৎ ভাবনায় এই দম্পতি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোড়া লাগানো ৫ দিন বয়সী কন্যা সন্তান দুটিকে কোলে তুলে নিয়ে নাম দিলেন লামিসা ও লাবিবা। সেই সঙ্গে তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে অপারেশনের মাধ্যমে পৃথক করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। অসহায় এই দম্পতি তাদের জোড়া কন্যা দুটির ইউএনও কর্তৃক দেয়া নাম গ্রহণ করে সন্তাদের বাঁচিয়ে রাখার আকুল আবেদন করে। এদিকে নীলফামারী জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন ওই জোড়া লাগানো নবজাতক কন্যা সন্তান দুটির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। নিতম্বের দিক দিয়ে পরস্পর জোড়া লাগানো দুই নবজাতক জলঢাকা উপজেলা শহরের একটি ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মধ্য দিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল গত ১৫ এপ্রিল লাল মিয়া ও হনুফা আকতারের বিয়ে হয় ২০১৭ সালের ৮ জুলাই। টানাপোড়নের সংসার জীবন। জোড়া লাগানো দুটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়া নবজাতকদের মা মনুফা বেগম শারীরিভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার শরীরও কিছুটা ফুলে গেছে। সাভারের একটি তৈরি পোশাক কারখানার কাটিং সেকশনের কর্মী লাল মিয়া বলেন, জোড়া সন্তানের দেহের সবই আলাদা হলেও কোমরের নিচ থেকে পায়ুপথ এক। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। টাকার অভাবে ঢাকা তো দূরের কথা, রংপুরেই থাকা সম্ভব হয় নাই। তাই পুনরায় গ্রামে ফিরে এনেছি। এখন সমাজের হৃদয়বানদের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া সন্তান দুটি ও স্ত্রীর চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। এখন আল্লাহ জানে তাদের ভাগ্যে কী হবে? তাই লালমিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছে। (লালমনিয়ার মোবাইল নম্বর ০১৭৩-৩৯৩২৬০৬)।
×