ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উবারে মাদক পাচার, বন্দুকযুদ্ধে আহত এক ব্যবসায়ী

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ২০ এপ্রিল ২০১৯

 উবারে মাদক পাচার, বন্দুকযুদ্ধে আহত এক ব্যবসায়ী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাদক পাচারের কৌশল হিসেবে উবার ব্যবহার করার সময় হাতেনাতে আটক করতে গেলে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন মাদক ব্যবসায়ী আহত হয়। এ সময় অপর দুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। র‌্যাব উবাবের ওই গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-গ ২১-২৩৯৪) আটকের পর বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল জব্দ করে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে ঘটে এ ঘটনা। র‌্যাব জানিয়েছে, আহত মাদক ব্যবসায়ীর নাম আলম। সে রাজধানীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে র‌্যাব। মূলত উবারের গাড়ি ভাড়া নিয়েই সে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। প্রায়ই সে সীমান্ত এলাকা থেকে ফেন্সিডিলের চালান নিয়ে ঢাকায় আসে। শুক্রবারও তিন সহযোগীকে নিয়েই ওই চালান নিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করছিল আলম। পথিমধ্যে সাভারের হেমায়েতপুরে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুতগতিতে প্রাইভেটকার চালিয়ে চেকপোস্ট ওভারটেক করে মাদক ব্যবসায়ী আলম মিয়া। দ্রুতগতির কারণে ৪টি সিএনজি ও ৫/৬টি রিক্সাকেও ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানাধীন তালতলা এলাকায় গোলাগুলি পর র‌্যাবের হাতে ধরা সে। এ বিষয়ে র‌্যাব-২ এর কমান্ডার লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল সকালে ফেন্সিডিলের বড় একটি চালান ঢাকায় ঢুকবে। ওই খবরে আমরা রাজধানীর পৃথক তিনটি স্থানে চেকপোস্ট বসাই। সকাল ৯টার দিকে ওই প্রাইভেটকার সাভারের হেমায়েতপুরে পৌঁছলে চেকপোস্ট দেখতে পেয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যায়। এ সময় এ বি সিদ্দিক নামে এক র‌্যাব সদস্য আহত হন। গাবতলীর কাছে আসার পর প্রাইভেটকারে থাকা তিনজনের মধ্যে মোঃ রহমান নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নেমে যায়। এরপর মিরপুর থেকে মাজার রোড হয়ে আগারগাঁও অভিমুখে গাড়িটি দ্রুতগতিতে চলতে থাকে। দ্রুতগতির কারণে মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবহৃত ওই প্রাইভেটকার রিক্সা ও সিএনজিকে ধাক্কা মারে। সকাল দশটার দিকে শেরেবাংলা নগর তালতলা মুক্তি হাউজিং এলাকায় র‌্যাব সদস্যরা গাড়িটি আটকে দেয়। দুই মাদকব্যবসায়ী গাড়ি থেকে নেমেই র‌্যাব সদস্যদের ওপর গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও গুলি ছুড়লে মোঃ আলম মিয়া আহত হয়। আরেকজন পালিয়ে যায়। অস্ত্র ও গুলিসহ আটকের পর আলম মিয়াকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিসহ শতাধিক বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়। ওই প্রাইভেটকারটির মালিক মিরপুরের জনৈক উবারের চালক রুমির কাছ থেকে ভাড়া নেয় আটক আলম মিয়া। উবারের ওই গাড়িতে করে মাদক সরবরাহের কাজ করে আসছিল। আলম মিয়াসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা থানায়, মাদক, র‌্যাব সদস্যদের ওপর হামলা ও অস্ত্র আইনে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আলমের দুই সহযোগীকে ধরার জন্য র‌্যাবের টিম মাঠে রয়েছে।
×