ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নওগাঁয় চাঁদা না দেয়ায় বাড়ি ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ২০ এপ্রিল ২০১৯

 নওগাঁয় চাঁদা না দেয়ায় বাড়ি ভাংচুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৯ এপ্রিল ॥ নওগাঁ সদর উপজেলার বনগাঁ নামাপাড়া গ্রামে বসতবাড়ির জমিতে বাড়ি নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও মারপিট করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চাঁদা না দেয়ায় এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গেছে, বনগাঁ নামাপাড়া গ্রামের এচাহাক আলীর ছেলে জামেদুল ইসলাম তাদের ক্রয়কৃত জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু ওই জমির ওপর টিনশেডের বাড়ি করে জামেদুল ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল ও বসত করে আসছিল। সম্প্রতি টিনশেডের বাড়ি ভেঙ্গে ইটের বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে বনগাঁ যুবক সমিতির নামে চাঁদা দাবি করে একই গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে আতাউল, মৃত মহির উদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, শওকত আলীর ছেলে এরশাদ আলী, এনতাজুলের ছেলে সবুজ হোসেনসহ বেশ কিছু লোকজন। জামেদুল চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় উক্ত ব্যক্তিরা ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বাবা এচাহাক আলী ও মাসহ পরিবারের সকলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট ও বাড়িঘর ভাংচুর করে। এ সময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে তারা বাড়িতে থাকা চাল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ সকল মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিবারের মেয়েদের শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটায়। এ ঘটনার পর জামেদুল বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। জামিদুল ইসলাম জানায়, প্রতিপক্ষ তার ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। প্রাণের ভয়ে বর্তমানে তিনি এলাকা ছাড়া। তাই তিনি এর সুষ্ঠু বিচার চান প্রশাসনের কাছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার দুপুরে বনগাঁ যুবক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সবুজ হোসেন জানান, চাঁদাবাজি ও শ্লীলতাহানির ঘটনা সঠিক নয়। তবে ঘটনার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে জামিদুলের বাড়ি ভেঙ্গে যায়। আর ক্লাবের ছেলেরা সামান্যতম ভাঙচুরও করেনি।
×