ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হল সংসদ নেতাকে হেনস্থার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

  দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হল সংসদ নেতাকে হেনস্থার অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল সংসদের সাধারণ সভায় সংস্কৃতি সম্পাদক ইমরান হাসান সমাজসেবা সম্পাদক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আবুল হোসেনকে হেনস্থা ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করার অভিযোগ করেন আবুল হোসেন নিজেই। বুধবার দিবাগত রাত ১১ টার পর হল সংসদে এ ঘটনা ঘটে। আবুল হোসেন অভিযোগ করেন, গত বুধবার রাতে হলের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে কার্যকরি সভা হয়। সভায় পহেলা বৈশাখে হল থেকে খাবার বিতরণের বিষয়ে তাকে কেন জানানো হয়নি, এ বিষয়ে হলের ভিপি এবং জিএস এর কাছে প্রশ্ন করি। হলের ভিপি শহিদুল হক শিশির তখন বলেন, এই অনুষ্ঠাণে সমাজসেবা সম্পাদকের কোনো কাজ নেই। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের বিষয়ে সাংস্কৃতিক সম্পাদকের পাশাপাশি সমাজসেবা সম্পাদকেরও দায়িত্ব রয়েছে দাবি করি। এ কথার প্রতিবাদ করতে গেলে সংসদের সংস্কৃতি সম্পাদক অকথ্য ভাষায় আমাকে গালাগালি করে। এক পর্যায়ে তিনি পেটানোর জন্য চেয়ার নিয়ে তেড়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আবুল হোসেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজ সেবা সম্পাদক আবুল হোসেন বলেন, আমি সবসময়ই সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিষয়ে সংসদের আলাচনায় বলি। কিন্তু আমি প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে সবসময় মাইনাস করতে চায়। এমন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সংস্কৃতি সম্পাদক ইমরান আমাকে হেনস্থা করেছে। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সংসদে ভালোভাবে কাজ করতে পারছি না। সংসদের অন্যদের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও তারা কোনো সদুত্তর দেন না। ইমরান হাসান হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগের সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলম রাব্বানীর অনুসারী। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইমরান হাসান বলেন, পহেলা বৈশাখের বিষয়ে সমাজসেবা সম্পাদকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। জুনিয়র হিসেবে তার কাছে কয়েকবার দুঃখ প্রকাশ করেছি। চেয়ার নিয়ে তেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইমরান বলেন, আমি তা করি নি। উল্টো তিনিই হাতে চেয়ার নিয়ে বারবার আমার দিকে তেড়ে আসছিলেন। এই বিষয়ে হল প্রাধ্যাক্ষ বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, হল সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক আমার কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছে। ব্যক্তিগত কাজে হলে যেতে পারি নি। হলে গিয়ে বিষয়টা খতিয়ে দেখবো। হল সংসদের সভায় নিজেদের মধ্যে এ ধরণে ঘটনা খুবই দুঃখজনক।
×