ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন অস্ত্র পরীক্ষার দাবি উত্তর কোরিয়ার

প্রকাশিত: ১১:৪০, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

নতুন অস্ত্র পরীক্ষার দাবি উত্তর কোরিয়ার

উত্তর কোরিয়া ‘শক্তিশালী ওয়্যারহেড’সহ পরিকল্পিতভাবে চালানো যায় এমন একটি নতুন অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ এ খবর জানায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক কোন সমঝোতা ছাড়াই শেষ হওয়ার পর এই প্রথম কোন পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমটি নতুন অস্ত্রের এ পরীক্ষার বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ফিরে যেতে পারে। এটাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য গত নবেম্বরে একই ধরনের পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। দুই নেতার মধ্যে সর্বশেষ বৈঠকের পর পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনায় অগ্রগতি খুব সামান্যই। গত ফেব্রুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং-উন ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেন। তবে সে আলোচনা ভেস্তে যায় এবং দুই নেতাই দ্রুত বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন। গত সপ্তাহে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন বলেন, আলোচনা অব্যাহত রাখতে প্রেসিডেন্ট টাম্পের ‘সঠিক আচরণ’ প্রয়োজন। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন এই পরীক্ষা প্রত্যক্ষ করেছেন। কেসিএনএ আরও জানায়, বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিভিন্ন উপায়ে হামলার মাধ্যমে পরীক্ষা চালানো হয়। এর মাধ্যমে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, নতুন এই অস্ত্রটি ভূমি, সাগর ও আকাশ থেকে উৎক্ষেপণ করা যাবে। কিম জং-উন বলেন, পিপলস আর্মির সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই অস্ত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে নতুন এ অস্ত্রের বিষয়ে আর বেশি কিছু প্রকাশ করা হয়নি। সুতরাং এটা পরিষ্কার নয় যে, এটা কোন বিশেষ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র কি না। তবে অধিকাংশ পর্যবেক্ষক একমত, এটা স্বল্পপাল্লার অস্ত্র হতে পারে। Ñ বিবিসি ও গার্ডিয়ান
×