ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শাহাব উদ্দিন মাহমুদ

ফার ফ্রম দ্য হলোকস্ট ॥ ১৯ এপ্রিল, ১৯৭১

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

ফার ফ্রম দ্য হলোকস্ট ॥ ১৯ এপ্রিল, ১৯৭১

১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল দিনটি ছিল সোমবার। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনতে এবং স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দিক-নির্দেশনা, সাংবিধানিক এবং যৌক্তিক অধিকার রক্ষার জন্য মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়েছিল। কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী মেহেরপুর মুক্ত এলাকায় এমএনএ ও সংসদ সদস্যদের অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে গঠিত সরকারের নেতৃত্বে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালী জাতি। কনভেনশন মুসলিম লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মালিক মোহাম্মদ কাশেম গবর্র্নর হাউসে জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তারা গবর্নরকে দলের পক্ষ হতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জে.এ ভুট্টো করাচিতে এক সভায় যারা পাকিস্তানের অখ-তার বিরুদ্ধে কাজ করছে তাদের সম্পর্কে সরকারের কাছে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেন। সঙ্কট নিরসনে তিনি সবাইকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার কাজে আত্মনিয়োগ করতে বলেন। ঢাকা নগরীর বিভিন্ন মহল্লার শান্তি কমিটির লিয়াজোঁ অফিসার ও আহ্বায়কদের নাম ঘোষণা করা হয়। অ্যাডভোকেট নূরুল হক মজুমদারকে শান্তি কমিটির ৫ নং এলিফ্যান্ট রোড-মগবাজারের কেন্দ্রীয় অফিসের সচিব হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। সিলেটের সালুটিকর বিমানঘাঁটির দখল নিয়ে মুক্তিবাহিনী ও পাকসেনার মধ্যে দিনব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। পাকিস্তানী বিমানবাহিনী এ সময় সিলেটে বোমাবর্ষণ করে। দর্শনায় মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে প্রচ- সংঘর্ষ শেষে পাকসেনারা বাঙালীদের ওপর গণহত্যা চালায়। বিকালে হানাদার বাহিনী হিলিতে অবস্থানরত ৩য় ইস্টবেঙ্গলের ক্যাপ্টেন আনোয়ার হোসেনের আলফা কোম্পানী ও ছাত্র-জনতা মুক্তিযোদ্ধার ওপর ত্রিমুখী আক্রমণ করে হানাদার। তাদের প্রচ- আক্রমণে টিকে থাকতে না পেরে ক্যাপ্টেন আনোয়ারের দল ছত্রভঙ্গ হয়ে ভারতের হিলির বকশীগঞ্জ আমবাগানে অবস্থান নেয়। গভীর রাতে তৎকালীন জাতীয় পরিষদের পাইকগাছা থেকে নির্বাচিত সদস্য আবদুল গফুর ও ইপিআর সুবেদার আইয়ূব আলির নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র ইপিআর জোয়ান ও কতিপয় সংগ্রামী যুবনেতা ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের সাতক্ষীরা শাখা অপারেশন করে সংগ্রহ করে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। মুজিবনগরে বাংলাদেশের পক্ষ হতে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সরকারের আদেশ মেনে চলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানান। নিকোলাস টোমালিন ডেইলি টেলিগ্রাফ-এ লিখেছিলেন, ‘ফার ফ্রম দ্য হলোকস্ট’। ভারতের দিল্লীভিত্তিক দৈনিকগুলোসহ সব রাজ্যের পত্রপত্রিকার প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠল পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও গণনির্যাতন। এমনকি সুদূর সুইডেনের এক্সপ্রেশন লিখল, ১৯৭০ সালের ‘সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল হজম করার মানসিকতা পাকিস্তানী শাসকদের ছিল না, তাই উল্টো সামরিক বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে। এটা স্পষ্ট যে, এই পদ্ধতিতে কখনোই পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের পুনর্মিলন ঘটানো সম্ভব নয়। টাইম সাময়িকীতে মার্চের গণহত্যার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়... সান্ধ্য আইনের পুরো ৪৮ ঘণ্টাই কুষ্টিয়া শহরটি নীরব ছিল। আগরতলা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে, পাকিস্তানীরা এখন আখাউড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে রেলপথ মেরামত করতে শুরু করেছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বন্দুক দেখিয়ে কাজ করতে বাধ্য করছে। শিলং থেকে নীলকমল দত্ত জানাচ্ছেন, মুক্তিফৌজের তৎপরতা রোধে পাকিস্তানীরা ক্রমাগত নোয়াখালী জেলার ফেনী ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর বরকল জলাধারের ওপর বিমান আক্রমণ চালাচ্ছে। চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের কাপ্তাইর ওপরও তারা বিমান থেকে রকেট ও মেশিনগানের গুলিবর্ষণ করেন। এখানে কর্ণফুলী জলবিদ্যুত কেন্দ্র অবস্থিত। বিদ্যুত কেন্দ্র দখলের জন্য কাপ্তাই ও কুমিরা অঞ্চলের ওপর তারা ছত্রীসৈন্যও নামিয়েছে। লাকসাম অঞ্চলে মুক্তিফৌজের একদল পাক-সৈন্যর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। সারা সেতুর কাছে কাছে প্রচ- লড়াই: ভেড়ামারা থেকে আগত পুনর্গঠিত মুক্তিফৌজের আরেকটি দল পাক-বাহিনীর সরবরাহ ব্যবস্থা বিকল করে দিয়েছে। এই পাকবাহিনী পাবনা থেকে পাকসি-কুষ্টিয়া সড়কের দু’ধারে আক্রমণ চালাতে চালাতে কুষ্টিয়ার দিকে এগিয়ে আসছিল। হার্ডিঞ্জ সেতুর কাছে প্রচ- লড়াই চলছে। মুক্তিফৌজ কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় অবস্থিত পাক-বাহিনীকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে এবং গড়াই নদীর পূর্ব ধার থেকে ফরিদপুরের দিকে অগ্রসরমান শক্রসৈন্যদের গতিও প্রতিহত করেছে। টাইম ম্যাগাজিনে ‘কুষ্টিয়ার যুদ্ধ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে প্রকাশ, গত সপ্তাহে পূর্ব পাকিস্তানে দুর্বার প্রচ- লড়াইয়ে বাঙালী শহরের অধিবাসী ও কৃষকরা ৮০,০০০ পশ্চিম পাকিস্তানী ‘হানাদার বাহিনী’ কে প্রতিরোধ করেছে। সংবাদে জানা যায় যে, সশস্ত্র পশ্চিম পাকিস্তানী সেনাদের হাতে কমপক্ষে দুই লাখ বেসামরিক নিহত হয়েছে। কিন্তু সৈন্যরাও রাগাম্বিত কৃষকদের হাতে গুরুতরভাবে হতাহত হয়েছে। এই সৈন্যবাহিনী রাজধানী ঢাকা, গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম ও খুলনা বন্দর এবং অন্যান্য কয়েকটি শহর নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী বাংলাদেশ মুক্তি ফৌজ নামক একটি দুর্বার প্রতিরোধ বাহিনী অনেক নগর ও শহরসহ পূর্ব পাকিস্তানের অন্তত এক-তৃতীয়াংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ পূর্ব পাকিস্তান থেকে সব বিদেশী সাংবাদিকদের বহিষ্কার করে বহির্বিশ্ব থেকে যুদ্ধের প্রকৃত তথ্য আড়াল করতে প্রায় পুরোপুরি সফল হয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহে টাইম প্রতিবেদক ড্যান কগিংস ভারত থেকে সীমান্ত পার হয়ে পূর্ব পাকিস্তান যেতে সক্ষম হন, যেখানে তিনি কুষ্টিয়া শহর এর যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শন করেন। শহরের লোকজন এবং বন্দী পশ্চিম পাকিস্তানী সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক সাক্ষাতকারের পর, কগিংস গৃহযুদ্ধের প্রথম পক্ষকাল সময় এ কুষ্টিয়ায় সংঘটিত বর্বরতা এবং সাহসিকতার একটি প্রতিচ্ছবি তৈরি করতে পেরেছিলেন। কুষ্টিয়া, বিস্তৃত গঙ্গা কাছাকাছি চাল-উৎপাদনকারী জেলার একটি শান্ত শহর, ২৫ মার্চ রাতে একটি বিশ্রামহীন ঘুমে কাটল। সতর্কবাণী ছাড়াই, কুষ্টিয়া থানার বাইরে ১৩টি জীপ আর ট্রাক থেমে যায়। সময় ছিল রাত ১০:৩০ যখন যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ৬০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত যশোর সেনানিবাসের বেস থেকে ২৭ বেলুচ রেজিমেন্টের ডেল্টা কোম্পানি এসে পৌঁছায়। কোম্পানির ১৪৭ সদস্য কোন প্রকার প্রতিরোধ ছাড়াই ৫০০ বাঙালী পুলিশকে দ্রুত নিরস্ত্র করে ফেলে এবং তারপর চারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের দখল নেয়ঃ জেলা পুলিশ প্রধান কার্যালয়, সরকারী অফিস ভবন, ভি এইচ এফ বেতার ট্রান্সমিটার এবং ছেলেদের জিলা স্কুল। সকাল ৫:৩০ এর আগে ঘুমন্ত শহরের অধিবাসীগণ অধিকাংশই বুঝতে পারেনি কি ঘটেছিল, যখন সৈন্যদের জীপ ক্ষিপ্ত গতিতে খালি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল আর ঘোষণা করছিল যে, কারফিউ ৩০ মিনিট পর থেকে শুরু হবে। কারফিউ বলবতকালীন সময় কুষ্টিয়া ৪৮ ঘণ্টার জন্য শান্ত ছিল, যদিও সাতজন- বেশিরভাগই কৃষক যারা শহরে এসেছিল, কি ঘটেছিল ঐ বিষয়ে অজ্ঞাত ছিল, রাস্তায় দেখা গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কারফিউ ২৮ মার্চ সকালে প্রত্যাহার করা হয় এবং শহরের লোকজন দ্রুততার সঙ্গে প্রতিরোধ করার জন্য সংগঠিত হতে শুরু করেছে। সেই রাতে, সৈন্যদের সামনে ৫৩ জন পূর্ব পাকিস্তানী পুলিশ কিছু করতে অক্ষম ছিল। তারপর, তারা সব ৩০৩ এনফিল্ড রাইফেল ও গোলাবারুদ যা বহন করতে পারে তা নিয়ে নিকটবর্তী গ্রামে চলে যায়। পুলিশরা ১০০ জন কলেজ ছাত্র যারা ইতিমধ্যে ‘বাংলাদেশের’ জন্য কাজ করছিলেন ঐ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেন। ছাত্ররা স্থানীয় কৃষকদের গেরিলা যুদ্ধের মূলকৌশল শিখাচ্ছিল যাদের হাতে অস্ত্র বলতে শুধু হাতুড়ি, খামার সরঞ্জাম ও বাঁশের লাঠি ছিল। দুই দিনের মধ্যে, পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের যোদ্ধাদের সংগঠিত করেছিল এবং কুষ্টিয়ায় পাঁচ সেনা অবস্থানের ওপর যুগপত হামলার জন্য পরিকল্পনা করছিল। ৩১ মার্চ ভোর ৪.৩০ টার সময়, প্রায় ৫০০০ কৃষক ও পুলিশ নিয়ে একটি গঠিত বাহিনী কুষ্টিয়া মুক্ত করার অভিযান শুরু করে। শহরের হাজার হাজার অধিবাসী ‘জয়বাংলা’ বলে রাস্তায় চিৎকার করছিল। দৃশ্যত সৈন্যরা অগ্নিশর্মা হাজার হাজার বাঙালীদের আক্রমণের ভয়ে চিন্তায় ব্যাকুল ছিল। মোহাম্মদ আইয়ূব নায়েক সুবেদারকে আটকের পরে, দুঃখ করে বললেন ‘আমরা খুবই আশ্চর্য হয়েছি।’ ‘আমরা ভেবেছিলাম বাঙালী সৈন্যরা আকারে আমাদের মতই এক কোম্পানির মতো হবে। আমরা জানতাম না যে সবাই আমাদের বিরুদ্ধে ছিল।’ কিন্তু রাইফেলের শত শত অনবরত গোলাবর্ষণে ডেল্টা কোম্পানির সৈন্যদের ওপর এক নিষ্করুণ প্রভাব ফেলেছিল। দুপুরে, সরকারী ভবন এবং জেলা সদর এর পতন ঘটে। পরের দিন ভোর হওয়ার অল্পক্ষণ আগেই, প্রায় ৭৫ জন সৈন্য তাদের জীপ ও ট্রাকের জন্য রাস্তা তৈরি এবং দূর পর্যন্ত প্রবল গোলাবর্ষণ করতে থাকে। দুটি জিপ জনতার আক্রমণ এর মুখে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই পূর্ব পাকিস্তানীরা ডজনখানেক সৈন্যকে টেনে বের করে আনে এবং তাদের জবাই করে। অন্যান্য গাড়িগুলো কালো টন শহরের বাইরে রাস্তাজুড়ে ফেলে রাখা গাছের ব্যারিকেড এবং খনন করে রাখা ৪ ফুটের পরিখাতে আটকা পড়েছিল। সৈন্যরা কৃষকদের দ্বারা পরাজিত ও কুপিয়ে হত্যা করার আগে প্রায় ৫০ জন বাঙালীকে গুলি করে। কয়েকজন সৈন্য পালিয়ে গেলেও পরে বন্দী করে হত্যা করা হয়। পরের দিন ভোর হওয়ার আগেই, কুষ্টিয়ায় ১৩ জন সৈন্য রেডিও ভবন ছেড়ে পালায় এবং ১৪ মাইল পায়ে হেঁটে পাড়ি দেবার পর দু’জন বাঙালীযোদ্ধা তাদের আটক করে নিয়ে যায় এবং তাদেরকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে ফেরত আনা হয়। জানা মতে, তারা ডেল্টা কোম্পানির ১৪৭ জনের মধ্যে বেঁচে যাওয়া ১৩ জন। নিহত পশ্চিম পাকিস্তানীদের মধ্যে নাসিম ওয়াকার ছিল, ২৯ বছর বয়সী একজন পাঞ্জাবী যাকে গত জানুয়ারিতে কুষ্টিয়ার সহকারী উপ-কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। যখন একটি উত্তেজিত জনতার স্রোত তার লাশ পায়, তারা এটিকে শহরের রাস্তায় আধ মাইল মতো এটি টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়। পরদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনী কুষ্টিয়ায় পাল্টা আক্রমণ করার জন্য যশোর থেকে অন্য পদাতিক কোম্পানি প্রেরণ করে। ঐ নতুন কোম্পানি কুষ্টিয়া থেকে অর্ধেক দূরত্বে বিশাখালি গ্রামে বাংলাদেশী বাহিনীর পাতা ফাঁদ এ আটকা পড়ে। সেনা বহরের নয়টি গাড়ির দুটি জিপ বাঁশ ও লতাপাতায় আবৃত একটি গভীর গর্তে ঢুকে আটকে যায়। তিয়াত্তর জন সৈন্য ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং অন্যদের তাড়া করে হত্যা করা হয়। গত সপ্তাহজুড়ে, বাংলাদেশের সবুজ, লাল ও সোনালি পতাকা কুষ্টিয়ায় ছাদে, ট্রাকে এবং এমনকি রিকশায় ও উড়ছিল। এই অঞ্চলে স্থানীয় দলীয় নেতার অধীনে বাঙালী প্রশাসন চলমান ছিল, ডঃ আসহাবুল হক (৫০) একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক যিনি রিভলবার এবং স্প্যানিশ স্বয়ংক্রিয় গ্রেনেড প্যাকেট করেন। এই সপ্তাহের শেষে, কুষ্টিয়া থেকে কয়েক মাইল দূরে দুটি সেনা ব্যাটালিয়ন একটি ফাঁড়ি গড়েছে। তারা খবর পেয়েছে, যদিও দুর্বার প্রতিরোধের বিরুদ্ধে সামান্য অগ্রগতিই করতে পেরেছে। এমনকি যদি সৈন্যরা কুষ্টিয়ায় পৌঁছাতে পারেও, শহরের মানুষেরা আবারও যুদ্ধ করতে অনেক বেশি প্রস্তুত ছিল। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক [email protected]
×