ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মন্টে কার্লো মাস্টার্সে ফিরে রোমাঞ্চিত নাদাল

শেষ ষোলোতে জোকোভিচ

প্রকাশিত: ১২:১৮, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

শেষ ষোলোতে জোকোভিচ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মন্টে কার্লো মাস্টার্সের শেষ ষোলোর টিকেট কাটলেন নোভাক জোকোভিচ। মঙ্গলবার তিন সেটের কঠিন লড়াইয়ে সার্বিয়ার এই টেনিস তারকা ৬-৩, ৪-৬ এবং ৬-৪ গেমে ফিলিপ কোলস্ক্রেইবারকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেন। এই জয়ে দারুণ খুশি বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড়। কেননা ক্লে কোর্টের মৌসুমে যে নোভাক জোকোভিচের এটাই প্রথম ম্যাচ। তাছাড়া এই জয়ে দারুণ প্রতিশোধও নিয়ে নিলেন ৩১ বছরের এই টেনিস তারকা। গত মাসে ইন্ডিয়ান ওয়েলসের তৃতীয় রাউন্ডে কোলস্ক্রেইবারের মুখোমুখি হয়েছিলেন জোকোভিচ। সেই ম্যাচে সার্বিয়ান তারকাকে হারিয়ে দেন কোলস্ক্রেইবার। এবার মন্টে কার্লো মাস্টার্সে সেই হারের প্রতিশোধ নিলেন সার্বিয়ান তারকা। ম্যাচের শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জোকোভিচ বলেন, ‘ম্যাচটা যে খুব চমৎকার হয়েছে তা বলা যাবে না মোটেও। তবে সে যে খুব ভাল খেলেছে তা স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু জয় সবসময়ই জয়। সেটা যেভাবেই হোক না কেন? ক্লে কোর্টের মৌসুমে এটাই আমার প্রথম ম্যাচ। বলতে হবে কঠিন একটা ম্যাচ দিয়েই ক্লে কোর্টের মৌসুম শুরু করতে হলো।’ চলতি বছরটা দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন জোকোভিচ। মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টেই যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদালের মুখোমুখি হন তিনি। সেই ম্যাচে একচেটিয়া দাপট দেখান সার্বিয়ান তারকা। ফাইনালে স্প্যানিশ টেনিস তারকাকে কোন ধরনের পাত্তা না দিয়েই ক্যারিয়ারের ১৫তম মেজর শিরোপা জয়ের স্বাদ পান তিনি। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সপ্তম শিরোপা জয়ের অবিস্বরণীয় কীর্তি গড়েন জোকোভিচ। মন্টে কার্লো মাস্টার্সে জয়ের দেখা পেয়েছেন ব্রিটেনের দুই নম্বর খেলোয়াড় ক্যামেরুন নোরিও। মঙ্গলবার তিনি ৬-৪ এবং ৬-৩ গেমে খুব সহজেই পরাজিত করেন ফ্রান্সের আদ্রিয়ান মানারিয়ানোকে। পরের রাউন্ডে নোরির প্রতিপক্ষ হাঙ্গেরির মার্টন ফুকসোভিচ। মন্টে কার্লো মাস্টার্সের রাজা হিসেবে বিবেচনা করা হয় রাফায়েল নাদালকে। কেননা এই টুর্নামেন্টে ১১ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এবারও হট ফেবারিট। বুধবারই নিজের প্রথম ম্যাচে কোর্টে নামেন তিনি। প্রথম ম্যাচে তার প্রতিপক্ষ স্বদেশী রবার্তো বাতিস্তা অগাট। প্রিয় টুর্নামেন্টে আবারও অংশগ্রহণ করতে পেরে দারুণ রোমাঞ্চিত নাদাল। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই জায়গাটা সবসময়ই আমার কাছে বিশেষ। খুব ছোটবেলা থেকেই এখানে সব কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের দেখে এসেছি। যে কারণেই এখানে খেলাটা আমার কাছে সবসময়ই স্বপ্নের মতো একটা ব্যাপার।’ ক্লে কোর্টে এটাই প্রথম টুর্নামেন্ট। এটাও নাদালের প্রিয় টুর্নামেন্ট হওয়ার অন্যতম কারণ।
×