ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের হস্তক্ষেপ চাইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:৫০, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের হস্তক্ষেপ চাইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাট্রিবিউন ॥ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চীনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দ্রুত প্রত্যাবাসন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে বেজিংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিতীয় বৈঠকে এই হস্তক্ষেপ চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চীন মনে করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৈঠকে চীনের জননিরাপত্তামন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে তারা মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। সমস্যা সমাধানে ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা উচিত বলে মনে করে চীন। এ বিষয়ে আসিয়ান ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া দেশের জোটের প্রশংসা করেন চীনের মন্ত্রী। মঙ্গলবার চীনের রাজধানী বেজিংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিতীয় বৈঠকে বাংলাদেশের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। অন্যদিকে চীনের পক্ষে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর এবং জননিরাপত্তা মন্ত্রী ঝাও কেঝি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দ্বিতীয় দফার এ বৈঠকে দু’পক্ষের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। এ নিয়ে একাধিক সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার বিষয়টিও স্মরণ করেন তারা। আলোচনায় চীনের মন্ত্রী দুই দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশ ও চীনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে বৈঠকে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। সভা শেষে দুই দেশের মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং বেজিং মিউনিসিপ্যাল পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ঢাকায় দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
×