ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেন সামান্য বাড়ল

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেন সামান্য বাড়ল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বৃহস্পতিবার উত্থানের পর চলতি সপ্তাহের দুই কার্যদিবস পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। তবে বুধবার সামান্য কিছুটা উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। দিনটিতে বীমা খাতের কোম্পানিগুলো দরবৃদ্ধিতে প্রাধান্য দেখিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের ক্রয় চাপের কারণে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত তিনটি সাধারণ বীমা কোম্পানির বিক্রেতাশূন্য অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। তবে মুন্নু গ্রুপের দুই কোম্পানির শেয়ারের বেশিরভাগ সময়েই কোন ক্রেতা ছিল না। একইসঙ্গে আরেক বড় মূলধনী কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনেরও শেয়ার দর কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বুধবারে সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর বেশ কিছু বড় কোম্পানির শেয়ারের বিক্রির চাপ বাড়ে। ফলে সূচকের তীর নিচে নেমে যায়। তবে বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর আস্তে আস্তে ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে থাকায় অন্যান্য কোম্পানিতেও ক্রেতা বাড়তে থাকে। যার কারণে উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে হাত বদল হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। টাকার পরিমাণে লেনদেনও আগের দিন থেকে কিছুটা বেড়েছে। জানা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২১৭ ও ১৮৮০ পয়েন্টে। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩১৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। যা আগের দিন থেকে মাত্র ৪৫ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৬৯ কোটি টাকার। এদিন ডিএসইতে ৩৪৫ প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৬০টির বা ৪৬ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১২৭টির বা ৩৭ শতাংশের এবং শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টির বা ১৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের। কোম্পানিটির ২৬ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ইউনাইটেড পাওয়ার এবং ১৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা লেনদেনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে মুন্নু সিরামিক। সার্বিক লেনদেনে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে-ফরচুন সুজ, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, সুহৃদ, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, এসকে ট্রিমস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বিবিএস ক্যাবল। এদিকে বুধবারে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে মুন্নু সিরামিকের। মঙ্গলবার মুন্নু সিরামিকের শেয়ার দর ছিল ২৭৯.৬০ টাকা। যা বুধবারে লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ২৫৬.৪০ টাকায়। এ হিসাবে শেয়ার দর কমেছে ২৩.২০ টাকা বা ৮.৩০ শতাংশ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ডিএসইর দর হারানোর তালিকার শীর্ষে উঠে আসে। এই তালিকায় অন্য শেয়ারগুলো হলো- মুন্নু জুট স্টাফলারের ৬.২৪ শতাংশ, নর্দান জুটের ৬.১২ শতাংশ, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৫.৭৮ শতাংশ, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫.১০ শতাংশ, রেকিট বেনকিজারের ৪.৯৪ শতাংশ, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ৪.৬৩ শতাংশ, আলহাজ টেক্সটাইলের ৩.৯২ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৩.৯১ শতাংশ এবং ফরচুন সুজের শেয়ার দর ৩.৮৫ শতাংশ কমেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১১৯পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৩২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ৯২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির দর। সিএসইতে ১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
×