ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়া ভুল ছিল ॥ ফেরদৌস

প্রকাশিত: ১১:১৪, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

ভারতের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়া ভুল ছিল ॥ ফেরদৌস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কলকাতায় গিয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করা উচিত হয়নি জানিয়ে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। বুধবার সন্ধ্যায় এক লিখিত বিবৃতিতে এভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন তিনি। বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই নায়ক দীর্ঘদিন ধরে ভারতের কলকাতায়ও সিনেমার কাজ করছেন। দুই বাংলায় প্রায় সমান জনপ্রিয় তিনি। কিন্তু এবার ঠিক অভিনয়ের জন্য নয়, ভারতের জাতীয় নির্বাচনে একটি দলের পক্ষে প্রচারে নেমে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। চলছে সমালোচনাও। ভারতের ভিসা আইন লংঘনের অভিযোগ উঠেছে ফেরদৌসের বিরুদ্ধে। দুই দেশের পত্র-পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখির মধ্যে মঙ্গলবার রাতে দেশে ফিরেছেন তিনি। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতে প্রথমবারের মতো ঘটনার ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে ফেরদৌস বলেন, ভারতে জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের এই নির্বাচন পূর্বের মতো সারাবিশ্বে সাড়া ফেলেছে। এই সময়ে আমি ভারতে অবস্থান করছিলাম। সকলের মতো আমারও আগ্রহের জায়গায় ছিল এই নির্বাচন। ফলে ভাবাবেগে তাড়িত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের একটি নির্বাচনী প্রচারে আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করি। এটা পূর্ব পরিকল্পনার কোন অংশ ছিল না। শুধু আবেগের বশবর্তী হয়ে আমি অংশগ্রহণ করেছি। কারও প্রতি বিশেষ আনুগত্য প্রদর্শন বা কোন বিশেষ দলের পক্ষে প্রচারের লক্ষ্যে নয়, আবার কারও প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করাও আমার উদ্দেশ্য ছিল না। ভারতের সকল রাজনৈতিক দল এবং নেতার প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। আমি ভারতের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলে আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তিনি বলেন, অভিনয় শিল্প আমার একমাত্র নেশা ও পেশা। অভিনয় শিল্পের মাধ্যমে বাংলা ভাষাভাষি সকলের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরিতে সর্বদা কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমার ভাবতে ভাল লাগে, আমি দুই বাংলায় সমানভাবে জনপ্রিয়। দুই বঙ্গের মানুষের সংস্কৃতি ও জীবনাচারে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। আবার ভারত বহু কৃষ্টি-কালচারের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ একটি দেশ। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের অবদান আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। পাশাপাশি ভারতের জনগণের ত্যাগ-তিতিক্ষা আমাদের চিরঋণী করে রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বহুদিনের। এখানকার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেক শিল্পী, সাহিত্যিক আমার বন্ধু। যাদের সঙ্গে আমি সবসময় হৃদ্যতা অনুভব করি। এ জন্য বিভিন্ন সময় কারণে-অকারণে আমি এখানে চলে আসি।
×