ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাণিকুলও অস্থির গরমে, বানর খাচ্ছে আইসক্রিম

প্রকাশিত: ১১:০৮, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

প্রাণিকুলও অস্থির গরমে, বানর খাচ্ছে আইসক্রিম

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ প্রাণিকুল। বানর, জেব্রাসহ বিভিন্ন প্রাণী পিপাসা মেটানোর চেষ্টা করছে। তৃষ্ণা মেটাতে বানরকে আইসক্রিম খেতে দেখা যায়। এখন চিড়িয়াখানায় নতুনের সমারোহ। আবার শিশুদের আকর্ষণ বাড়াতে কিডস কর্নার যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে পাখির অভয়ারণ্য। খোলামেলা পরিবেশে পদচারণায় গড়ে তোলা হয়েছে পুরো আঙ্গিনা। সিংহ-সিংহীর বিয়ের মতো অবাক হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে এই প্রাঙ্গণে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা ছয়টি জেব্রা চিড়িয়াখানার আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক এম এ মান্নানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামের ফয়’স লেক এলাকায় গড়ে তোলা হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। বর্তমানে প্রায় ১০০ প্রজাতির পশুপাখি রয়েছে এই চিড়িয়াখানায়। প্রতিমাসেই এখন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার ৫০০ দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে এই চিড়িয়াখানায়। তবে ছুটির দিনে দর্শনার্থীর সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি হয়। চট্টগ্রাম নগরীতে জেলা প্রশাসনের পরিচালনায় একটি মাত্র চিড়িয়াখানা হলেও ঢাকার চিড়িয়াখানা থেকে অনেক ভাল ও পরিবেশ সম্মত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অবয়বে গড়া চিড়িয়াখানাটি ক্রমশ আগতদের মন জয় করে সরকারের আয়বর্ধক প্রকল্পে পরিণত হয়েছে। আগতরা অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে ফয়’স লেককে বেসরকারী খাতে লিজ দেয়ায় প্রকৃতির ছোঁয়া হারাচ্ছে এই আঙ্গিনা। আবার এই লেকে চিরসুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হারিয়েছে দর্শনার্থীরা। কারণ দর্শনার্থীদের অর্থ ক্ষমতার মধ্যে নেই লেকে প্রবেশাধিকার। জনপ্রতি ২৫০ টাকা থেকে সাড়ে ৪ শ’ টাকা পর্যন্ত নেয়ার রেকর্ড রয়েছে কনকর্ড এমিউজমেন্ট পার্ক কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা নির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব মোঃ রুহুল আমিন জনকণ্ঠকে জানান, আমরা এ চিড়িয়াখানাটিকে মানসম্মত করে তুলতে বিভিন্ন প্রাণীর সমাগম ঘটাচ্ছি। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলেরই পদচারণা রয়েছে এই চিড়িয়াখানায়। পাহাড় বেষ্টিত এই চিড়িয়াখানাটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়া। দর্শনার্থীরাও উপভোগ করছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। বর্তমানে প্রতিমাসে প্রায় লাখের কাছাকাছি দর্শনার্থী এই চিড়িয়াখানায় আসছেন।
×