ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আড়াইহাজারে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতার হাতাহাতি, দুজনকে আটকের পর মুক্তি

প্রকাশিত: ১১:০৪, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

আড়াইহাজারে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতার হাতাহাতি, দুজনকে আটকের পর মুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ আড়াইহাজারে দিদার হোসেন নামে এক কলেজ ছাত্রকে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশ সদস্য ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ৫ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রলীগ নেতা সুজয় সাহাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করে ওসিসহ অভিযুক্ত এটিএসআই মামুনের প্রত্যাহারের দাবি জানালে আলোচনা শেষে বুধবার সন্ধ্যার পর ওই নেতাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার দুপুরে উপজেলার গোপালদী পৌরসভার গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে। এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-গ) মোঃ আফসার উদ্দিন খান জানান, পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতার সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়েছে। কোন হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, দুপুরে গোপালদী পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই মামুন মিয়া গোপালদী নজরুল ইসলাম বাবু কলেজের এইচএসসির এক পরীক্ষার্থী দিদার হোসেন (১৮) কে আটক করে গোপালদী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এ খবর দিদার মোবাইল ফোনে গোপালদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সাহাকে জানায়। খবর পেয়ে সুজয় সাহা ফাঁড়িতে গিয়ে এটিএসআই মামুন মিয়াকে দিদারকে কেন আটক করা হয়েছে তা জানতে চায়। ওই সময় ছাত্রলীগ নেতা সুজয় ও এটিএসআই মামুন মিয়ার মধ্যে তর্কবিতর্ক ও পরে হাতাহাতি হয়। পরে গোপালদী ফাঁড়ি পুলিশ সুজয়কে আটক করে পিটুনি দিয়ে আটক করে। পরে খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন গোপালদী ফাঁড়িতে গিয়ে আটক ছাত্রলীগ নেতা সুজয় ও দিদারকে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃত ছাত্রলীগ নেতা সুজয় সাহা জানান, কোন অভিযোগ ছাড়াই পরীক্ষার্থী দিদারকে কলেজ থেকে আটক করে এটিএসআই মামুন মিয়া। দিদারকে আটকের খবর পেয়ে সে নিজেই ফাঁড়িতে গিয়ে আটকের কারণ জানতে চাইলে তাকে ফাঁড়িতে আটক করে ৩-৪ পুলিশ মিলে তাকে পিটিয়ে চোখ বেঁধে থানায় নিয়ে গিয়ে সেখানেও ওসির নেতৃত্বে ৬-৭ জনে মিলে আবারও তাকে বেদম মারধর করে। অপরদিকে এটিএসআই মামুন মিয়া জানান, ইভটিজিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি নজরুল ইসলাম বাবু কলেজের সামনে থেকে দিদারকে ডেকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসি।
×