স্টাফ রিপোর্টার ॥ এশিয়ার অনেক দেশে ট্যাপ থেকে পানি সরাসরি পানযোগ্য হলেও রাজধানী ঢাকাতে এখনও তা হয়ে ওঠেনি। ঢাকা ওয়াসার পানির মান নিম্নমানের কারণে ৯৩ শতাংশ গ্রাহক বিভিন্ন পদ্ধতিতে পানি পানের উপযোগী করে। এর মধ্যে ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে বা সিদ্ধ করে পান করে। আর গৃহস্থালি পর্যায়ে এই পানি ফোটাতেই বছরে ৩৩২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা গ্যাসের অপচয় হচ্ছে বলে দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এছাড়াও গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পানি না পাওয়ার হার বস্তি এলাকায় বেশি। ওয়াসার নানা সমস্যা উত্তরণে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবার মূল্য নির্ধারণে রেগুলেটরি কমিশন গঠনের সুপারিশও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার রাজধানীর ধানম-ির মাইডাস সেন্টারে ‘ঢাকা ওয়াসা : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জমান। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষক শাহনূর রহমান ও শহিদুল ইসলাম। গবেষণার জন্য টিআইবি একটি জরিপ পরিচালনা করে। যেখানে টিআইবি মাঠপর্যায়ে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মোট ২ হাজার ৭৬৮ জন গ্রাহকের মতামত নেয়। ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের (নারায়ণগঞ্জ ব্যতিত) আওতাধীন আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বস্তি এলাকার পানি ও পয়ঃসংযোগ এ গবেষণার আওতায় পড়েছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে এই গবেষণা চালানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জমান বলেন, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা ওয়াসা নিশ্চিত করতে পারেনি। বিশ্বের অনেক দেশেই ট্যাপ থেকে সরাসরি পানি পান করা যায়। এশিয়ারই অনেক দেশেই ট্যাপের পানি সরাসরি পান করা যায়। বাংলাদেশে আমরা ভাবতেও পারি না। ঢাকা ওয়াসাকে এ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: