ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে ॥ আমু

প্রকাশিত: ১১:০০, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে ॥ আমু

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ’৭১-এ মুজিবনগরে শপথ নেয়া বাংলাদেশের প্রথম সরকারের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনৈতিক ভিত্তি এখন মারাত্মকভাবে মজবুত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, শিশুভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা চালুর কারণে। জমি আছে ঘর নাই এমন পরিবারকে ঘর দেয়া হচ্ছে। ভিক্ষুকদেরও পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এসব কারণে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন বলেও জানান তিনি। আমির হোসেন আমু বুধবার মেহেরপুরের মুজিবনগরে ‘মুজিবনগর দিবস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। খবর বাসসর। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদ্যাপন কমিটি-২০১৯’র আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এসএম কামাল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহীদুজ্জামান খোকন, সাইফুজ্জামান শিখর এমপি, আব্দুর রহমান এমপি প্রমুখ। মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ১৯৪৭ সালের পথ ধরেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। আমাদের সূর্যসন্তানেরা ৯ মাসের যুদ্ধে দেশ স্বাধীন করে। খালেদা জিয়া এই স্বাধীন দেশে অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা করে স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রী করে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কলঙ্কিত করেছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানীরা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা আন্তর্জাতিকভাবে সেই হত্যার স্বীকৃতি চাই। ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, যতই চেষ্টা করা হোক না কেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলা যাবে না। সমাবেশের আগে আমির হোসেন আমুসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে পুলিশ, আনসার ভিডিপি, বিএনসিসি, গালর্স গাইড সদস্যরা কেন্দ্রীয় অতিথিদের গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এরপরেই গীতিনাট্য ‘বদলে যাও, বদলে দাও’ পরিবেশন করা হয়। এর আগে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আতাউল গনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইবাদত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তৌফিকুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা আক্তারসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
×