ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নদী দখল দূষণ মুক্ত করতে মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

নদী দখল দূষণ মুক্ত করতে মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ নদী দখল, দূষণমুক্ত এবং নাব্য ফেরাতে মাস্টারপ্ল্যানের খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। আগামী ১০ বছরের মধ্যে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখল, দূষণমুক্ত করা ও নাব্য ফিরিয়ে আনতে এই পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্য বৃদ্ধির জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি সংক্রান্ত কমিটির সভায় এটি চূড়ান্ত করা হয়। এই কমিটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রয়েছেন। বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে গ্রামগঞ্জের সকল মানুষের কাছে উন্নয়নের সব সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। তেমনিভাবে নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করতে হবে, নাব্য ফেরাতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি টাস্কফোর্স বা কমিটি করা হয়েছে, পদাধিকার বলে আমি সেই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে কমিটি একটি খসড়া মাস্টারপ্ল্যান করেছে, সেই মাস্টারপ্ল্যানের ওপর আলোচনা করে নীতিগতভাবে সেটি অনুমোদন করেছি। একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদিত খসড়া মাস্টারপ্ল্যানটি উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে উনি অনেক আন্তরিক, বিষয়টাকে তিনি অনেক গুরুত্ব দেন, সেই হিসেবে এ বিষয়ে তার অনেক তথ্য জানা আছে। যদি কোথাও ইনপুট দেয়া দরকার মনে করেন, সংযোজন করা দরকার মনে করেন, তিনি সেটা করবেন। কত বছর মেয়াদী মাস্টারপ্ল্যানটি, এর মধ্যে কী আছে- জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, টেমস নদী এক সময় দূষিত হয়ে গিয়েছিল, গার্বেজ ডাম্পিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সেই টেমস নদী ৫০ থেকে ৫৫ বছর লেগেছে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে। আমরা যে মাস্টারপ্ল্যানটি করেছি সেটাতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম, স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে মাস্টার প্ল্যানটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর মধ্যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ১০ বছর। প্রাথমিকভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলছে। আপনারা দেখেছেন নদী দখল যেগুলো হচ্ছে তা মুক্ত করা হচ্ছে, ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। ওয়াসার নেতৃত্বে স্যানিটেশনের কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা শহরের স্যুয়ারেজ লাইন ঠিক করা হবে, যাতে নদীতে কোন দূষিত পানি না যায়। তাজুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। বর্জ্য যাতে নদীতে এখানে সেখানে ডাম্পিং করা না হয় সেজন্য বর্জ্য থেকে বিদ্যুত উৎপাদনে করতে পারি, এই ব্যবস্থা নিতে কাজ করছি।
×