ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘এ্যাসাঞ্জকে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যুক্তরাজ্য’

প্রকাশিত: ১১:০৮, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

‘এ্যাসাঞ্জকে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যুক্তরাজ্য’

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইকুয়েডরকে যুক্তরাজ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, এমন কোন দেশে জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জকে তারা প্রত্যর্পণ করবে না যেখানে তার মৃত্যুদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথির অনুলিপি সূত্রে গার্ডিয়ান বলছে, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনোকে লেখা চিঠিতে সাবেক ও বর্তমান দুই ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আশ্বাস দিয়েছিলেন। মোরেনো শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন, উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতার মৌলিক অধিকার সুরক্ষার প্রশ্নে যুক্তরাজ্যের লিখিত প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন তিনি। ২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জ। ৪ এপ্রিল উইকিলিকসের টুইটে বলা হয়, ইকুয়েডর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দুটি সূত্র থেকে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে এ্যাসাঞ্জকে দূতাবাস থেকে তাড়ানো হতে পারে। সেই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে ১১ এপ্রিল তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ২০১৮ সালের ৭ মার্চ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ও ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন স্বাক্ষরিত দুটি চিঠির অনুলিপি সূত্রে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টকে পাঠানো হয়েছিল ওইসব চিঠি। ব্রিটিশ আইনকে উদ্ধৃত করে সেখানে আশ্বস্ত করা হয়েছিল, কোন ব্যক্তি যদি কোন দেশে মৃত্যুদ-ের মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন, তবে তাকে ওই দেশের হাতে তুলে দেয়া হবে না। চিঠিতে মোরেনোকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে, ‘আপনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাজ্য থেকে প্রত্যর্পণ করা উচিত কিনা। কারণ, প্রত্যর্পণ করা হলে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার ঝুঁকি রয়েছে। যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী আমি নিশ্চিত করছি যে, কোথাও যদি কোন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড হওয়ার ঝুঁকি থাকে তবে তাকে সেখানে বিতাড়িত করা হবে না।’ এ্যাসাঞ্জ গ্রেফতারের পর গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাতকারে মোরেনো দাবি করেন, মৃত্যুদণ্ড প্রদানের আশঙ্কা রয়েছে এমন কোন দেশে এ্যাসাঞ্জকে ফেরত না পাঠানোর বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকার তাকে আশ্বাস দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক আশ্রয়ের অধীনে থাকাকালে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসকে গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র বানিয়েছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জ। অভিযোগ উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ও ঋণ মওকুফের শর্তে এ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। তবে মোরেনো দাবি করেছেন, ভিন্ন কোন দেশের চাপে তিনি এমন পদক্ষেপ নেননি।
×