ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধর্মীয় স্থানের চেয়েও বেশি কিছু

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

ধর্মীয় স্থানের চেয়েও বেশি কিছু

ফ্রান্সের কোন দর্শনীয় স্থানই নটর ডেম ক্যাথেড্রালের মতো এত সুন্দর নয়। জাতীয় প্রতীক হিসেবে এর অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলো আইফেল টাওয়ার। এই আইফেল টাওয়ার এক শতাব্দীর অল্পকিছু দিন বেশি পুরনো। কিন্তু সেই ১২০০ সাল থেকে প্যারিসে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে নটর ডেম ক্যাথেড্রাল। ফ্রান্সের বিখ্যাত সাহিত্যকর্মেও নটর ডেমের উল্লেখ রয়েছে। ভিক্টর হুগোর উপন্যাস হান্সব্যাক অব নটর ডেম ফরাসীদের কাছে নটর ডেম দ্য প্যারিস নামেই পরিচিত। সর্বশেষ ফরাসী বিপ্লবের সময় ক্যাথেড্রালের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছিল। সে সময় ধর্মবিরোধী উগ্রবাদীরা সাধু-সন্ন্যাসীদের বিভিন্ন মূর্তি ভাংচুর করে। ১৮৭১ সালের বিক্ষোভের সময়, এমনকি দুটি বিশ্বযুদ্ধের সময় ভবনটি অক্ষত ছিল। এমন একটি স্থাপনা কিভাবে আগুনে পুড়ে যেতে পারে, বিষয়টি কতটা হৃদয়বিদারক, সেটা কল্পনা করাও অসম্ভব। স্থানীয় অনেকেই তাদের বিখ্যাত এই স্থাপনাটির বিষয়ে অবগত নন। কিন্তু নটর ডেমের রাজকীয় বিশালতা অনুভব করা ছাড়াই অনেকে রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে সিন নদীর তীরে হাঁটতে পারেন। -গার্ডিয়ান বিভিন্ন স্থানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মতো এটিও প্রায়ই পরিদর্শনে যান না অনেকেই। একজন বলেন, আমার জন্ম শহরে আমি তিন দশক কাটিয়েছি। কিন্তু নটর ডেমের ভেতরে তিন-চারবারের বেশি যাওয়া হয়নি। আর সেটাও হয়েছে বিদেশী পর্যটকদের সঙ্গে। ক্যাথেড্রালটি কেবল পশ্চিম ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থানই নয়, এটা নির্মাণের আটশ’ বছর পরও এটা এখনও উপাসনার প্রধান কেন্দ্র। এখানে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার সেবা দেয়া হয়। কিন্তু এটা ধর্মীয় স্থানের চেয়ে বেশি কিছু। আগুনের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ পুরো জাতির পক্ষে শোক প্রকাশ করেছেন। প্যারিসের মেয়র এ্যানি হিদালগো বলেন, ‘নটর ডেম আমাদের চিরাচরিত ঐতিহ্যের অংশ।’
×