ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারেনি ওয়াসা

প্রকাশিত: ১১:০৯, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারেনি ওয়াসা

ফিরোজ মান্না ॥ তেঁতুলঝরা-ভাকুর্তা ওয়েল ফিল্ড নির্মাণ প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারেনি ঢাকা ওয়াসা। রাজধানীর মিরপুর এলাকাবাসীকে প্রতিদিন ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ দেয়ার জন্য প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয় ২০১২ সালে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালের মে মাসে। চার দফা তারিখ পিছিয়ে প্রকল্পটির আংশিক বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটি থেকে প্রতিদিন ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। এই ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ দেয়ার কারণে আশুলিয়ার ‘তেতুলঝরা-ভাকুর্তা’এলাকার মানুষের পানির জন্য দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। সেখানে টিউবওয়েল ও শ্যালো মেশিনের পানির স্তর কয়েক ফুট নিচে নেমে গেছে। তারা ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কাছে অসুবিধার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। বিষয়টি ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সমাধান করবে বলে তাদের আশ্বস্থ করেছে। সূত্র জানিয়েছে, মিরপুর বাসীর জন্য প্রতিদিন ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ দেয়ার জন্য প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয় ২০১২ সালে। তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের মাত্র ৭৫ ভাগ শেষ হয়েছে। এরপর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের তারিখ ঘোষণা করা হয় গতবছরের মার্চে। মার্চেও কাজ শেষ করতে পারেনি ওয়াসা। সর্বশেষ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের করার কথা বলা হয়েছে এ বছরের সেপ্টেম্বরে। এরপরও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। অভিযোগ উঠেছে, চার দফা তারিখ বদল করে ওয়াসার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো। প্রথমে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৫শ’ ৭৩ কোটি টাকা। বর্তমানে প্রকল্প ব্যয় প্রায় ১শ’ কোটি টাকা বেড়ে গেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুরে প্রতিদিন ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ দেয়ার কথা রয়েছে। ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান সম্প্রতি বলেছেন, তেতুলঝরা-ভাকুর্তা ওয়েল ফিল্ড নির্মাণ প্রকল্প প্রায় শেষ। প্রথম ফেসে সেখান থেকে মিরপুর এলাকায় পানি সরবরাহ দেয়া শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ফেসের কাজ অল্পদিনের মধ্যেই শেষ হবে। তবে প্রকল্পটির কারণে ওই এলাকার মানুষের কিছু সমস্যা হচ্ছে এমন একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা সমস্যা দূর করার জন্য কারিগরি টিম গঠন করেছি। তারা বিষয়টি দেখছেন। এক প্রশ্নের জবাবে এমডি বলেন, অবশ্যই আমরা সেখানকার মানুষের অসুবিধা দেখব। এক এলাকায় অসুবিধা করে অন্য এলাকায় সুবিধা দেয়া হবে-এমন কাজ করা যাবে না।
×