ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টিআর ও কাবিটার অর্থে এ কাজ হবে

গৃহহীনদের জন্য চলতি বছরে বারো হাজার ঘর নির্মাণ

প্রকাশিত: ১১:০৮, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

গৃহহীনদের জন্য চলতি বছরে বারো হাজার ঘর নির্মাণ

তপন বিশ্বাস ॥ চলতি অর্থবছরে সারাদেশে ১২ হাজার গৃহহীনের ঘর নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। ঘর প্রতি ২ লাখ ৬০ হাজার করে এতে খরচ হবে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় পর্যায় ক্রমে সারাদেশে ৬৪ হাজার ঘর নির্মাণ করা হবে। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কর্মসূচী টেস্ট রিলিফ (টিআর) এবং কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচীর বিশেষ বরাদ্দের টাকায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বুধবার এই সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বুধবার প্রধানমন্ত্রী এটি অনুমোদন করেছেন। এখন এটি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ কামাল জনকণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রারিদ্র্য বিবেচনায় নিয়ে আগামী জুনের মধ্যে এবারের কর্মসূচী সম্পন্ন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই কাজে কঠোর মনিটরিং করা হবে। সূত্র জানায়, এখন থেকে টিআর, কাবিটা’র অর্থ দিয়ে গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ’। শীঘ্রই এর কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী জুনের মধ্যে সারাদেশে ১২ হাজার ঘর নির্মাণ করা হবে। প্রতি বছর টিআর খাতে ২০০ কোটি টাকা এবং কাবিটা খাতে এক শ’ কোটি টাকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে বরাদ্দ দেয় অর্থ বিভাগ। এই টাকা দিয়ে ৬৪ জেলায় ৬৪ হাজার ঘর নির্মাণ করে দেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে এ বছরের জুনের মধ্যে প্রতি জেলায় গড়ে প্রায় ১৮৭ অর্থাৎ ৬৪ জেলায় ১২ হাজার ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। এরপর ডিসেম্বরের মধ্যে ৬৪ জেলায় আরও সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। চার থেকে সাড়ে চার শ’ বর্গফুটের সেমিপাকা প্রতিটি ঘরে দুটি রুম, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্না ঘর থাকবে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। যাদের জমি আছে কিন্তু ঘর নেই তাদের বিষয়টি প্রথমেই চিন্তা করবে মন্ত্রণালয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় পর্যায়ে গৃহহীন ঠিক করবেন জনপ্রতিনিধিরা। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যরা গৃহহীনদের তালিকা পৌঁছে দেবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে। এরপর ওই তালিকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন ইউএনওরা। পাশাপাশি এই কর্মসূচী কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের আট অতিরিক্ত সচিবকে আট বিভাগের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া যুগ্ম-সচিবরা ডিসি ও ইউএনওদের মনিটরিং করবেন। আয়তন, জনসংখ্যা ও দরিদ্রতার ভিত্তিতে উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে। উপকারভোগী নির্বাচনে কোন জনপ্রতিনিধি পক্ষপাতিত্ব করলে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
×