ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘রহস্যময় কালো ট্রাঙ্ক’, ভারতের রাজনীতিতে উত্তাপ

প্রকাশিত: ০৯:১২, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

‘রহস্যময় কালো ট্রাঙ্ক’, ভারতের রাজনীতিতে উত্তাপ

একটি কালো ট্রাঙ্ক ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়েছে ভারতের রাজনীতিতে। কংগ্রেসের অভিযোগ, ‘রহস্যময়’ ওই ট্রাঙ্কটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হেলিকপ্টার বহর থেকে নামানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছে তারা। এনডিটিভি জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী মোদি কর্ণাটকের চিত্রদুর্গে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার সময়। কংগ্রেস বলছে, প্রধানমন্ত্রী নামার আগেই তার নিরাপত্তারক্ষীরা ট্রাঙ্কটি তড়িঘড়ি করে হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে একটি গোপন জায়গায় নিয়ে যায়। খবর আনন্দবাজার ও ওয়েবসাইট। কংগ্রেসের মুখপাত্র আনন্দ শর্মা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার পাহারায় থাকা আরও তিনটি কপ্টার দেখেছি। অবতরণের পরই প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার থেকে একটি কালো ট্রাঙ্ক নামিয়ে দৌড়ে গিয়ে তা একটি বেসরকারী গাড়িতে তুলে দেয়া হয়। গাড়িটি মোদির বিশেষ নিরাপত্তা বহরে ছিল না। নির্বাচন কমিশনের কাছে এ ঘটনাটিরই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আনন্দ শর্মা। ওই ট্রাঙ্কে কী ছিল তাও জানতে চেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ওতে কি আছে মোদির তা জানানো উচিত ছিল। ট্রাঙ্কে টাকাও থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে কংগ্রেসের কর্ণাটক শাখা এরই মধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে বলেও জানান আনন্দ শর্মা। মোদির হেলিকপ্টার থেকে কালো ট্রাঙ্ক তড়িঘড়ি করে নামানোর অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে শনিবারই কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাও নিজের টুইটারে ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সে ভিডিওতেই দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার থেকে ট্রাঙ্কটি নামিয়ে দ্রুত একটি ইনোভা গাড়িতে তুলে দেয়ার দৃশ্য। ট্রাঙ্কটি গাড়িতে তুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি রওনা হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশনের কাছে দীনেশ গুন্ডু রাওয়ের দাবি, ট্রাঙ্কে কী রাখা ছিল, গাড়িটাই বা কার, সব কিছু তদন্ত করে দেখা হোক। এদিকে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কালো ট্রাঙ্ক নিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে কংগ্রেসের বরং নিজেদেরই স্বচ্ছতার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত বলে মন্তব্য করে দলটি। বিজেপি দফতরেও সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্র ও সাংসদ জি ভি এল নরসিংহ রাওকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি জবাব এড়িয়ে যান তিনি। তিনি উল্টে অভিযোগ করেন, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয় তুঘলক রোডে। রাহুল নিজে চুরি করে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠলে ক’দিন আগেও তা নিয়ে তেড়েফুড়ে উঠত বিজেপি।
×