ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বন্ড ছাড়তে পারবে ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো

প্রকাশিত: ১০:৫০, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

 বন্ড ছাড়তে পারবে ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজি বাজারে কার্যক্রম পরিচালনা করা ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো আগামী দিনে বন্ড ইস্যু করে তহবিল সংগ্রহ করতে পারবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ড সংগ্রহের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার চলমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুঁজিবাজারে ব্যবসায়রত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান তথা ব্রোকারহাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে বন্ড ইস্যু করে তহবিল সংগ্রহ করার সহজ সুযোগ দেয়ার সুপারিশ করা হয়। পরে বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাত করেও সংগঠন দুটির নেতারা অন্যান্য সুপারিশের সঙ্গে বন্ড ইস্যুর বিষয়টি তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তারা বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থকে ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের হিসাবের বাইরে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানান। বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ব্রোকারহাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত মূল ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে। কিন্তু একক গ্রাহক ঋণসীমা, ব্যাংকের ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজারসহ বিভিন্ন আইনী সীমাবদ্ধতার কারণে প্রায়ই এই বিনিয়োগ ব্যাহত হয়। তাই বন্ড ইস্যু করে ব্রোকারহাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো নিজেরাই তহবিল সংগ্রহ করতে পারলে এবং সেই তহবিলকে ব্যাংকের ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজারের বাইরে রাখলে এসব প্রতিষ্ঠান আরও বেশি ভূমিকা রাখবে বাজারে এমন মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ এপ্রিল বন্ড সংক্রান্ত ইস্যুতে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক আছে। সে বৈঠকে বন্ডের স্ট্যাম্প ডিউটি কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ওই বৈঠকের বন্ডের ক্ষেত্রে ইতিবাচক কিছু অগ্রগতি হবে বলে তারা আশা করছেন। উল্লেখ, বর্তমানে বন্ড ছাড়তে হলে বন্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানকে মোট মূল্যের ওপর ২ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। এই ডিউটির সঙ্গে প্রদেয় সুদ হার যোগ করলে তহবিলের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। এরচেয়ে অনেক কম ব্যয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ বা তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব বলে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ডে তহবিল সংগ্রহে আগ্রহী নয়। বন্ডের সক্রিয় বাজার গড়ে তুলতে এই ডিউটি প্রত্যাহার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিএসইসিও এই বিষয়ে চেষ্টা করছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এই বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
×