ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন বছর

পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

 পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে ৫০ হাজার বা তার বেশি দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়াম নেই। সর্বোচ্চ প্রায় ২৬ হাজার দর্শক ধারণা ক্ষমতার স্টেডিয়াম আছে। সেটি মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। যেটিকে ‘হোম অব ক্রিকেট’ করা হয়েছে। কিন্তু ৫০ হাজার বা তার বেশি দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামের স্বপ্ন দেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তা বাস্তবায়নও হতে চলেছে। পূর্বাচলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম হবে। যেটি ৫০ হাজারের বেশি দর্শক ধারণ ক্ষমতা থাকবে। বিশ্বের সেরা স্টেডিয়ামগুলোর একটি হবে। সেটি আড়াই থেকে তিন বছরেই প্রস্তুত হয়ে যাবে। শনিবার এমন আশাই ব্যক্ত করেছেন স্টেডিয়ামের প্রজেক্ট বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিসিবি পরিচালক মাহবুবুল আনাম। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা আশা করছি কাজ শুরুর দুই বছরের মধ্যেই শেষ করব।’ কাজ কবে শুরু হবে? সেই ব্যাখ্যাও দিলেন তিনি, ‘পূর্বাচলের এই জমিটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে রেজিস্ট্রি হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই জমিটি বরাদ্দ করেছে রাজউকের মাধ্যমে প্রতীকী মূল্যে। এই মাসের মধ্যেই আমরা মাঠের পজেশনে কাজ করব। পজেশন পেলেই কাজ গতিসম্পন্ন হবে। মাঠটি প্রটেক্ট করা, একটা সাইট অফিস করা, অন্যান্য যে পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো সামনের দিকে আগাবো। আমাদের ইচ্ছে এই স্টেডিয়ামটা এমন একটা স্টেডিয়াম হবে যেটা শুধু এই রিজন কেন, পুরো বিশ্বের মধ্যে সুন্দর স্টেডিয়াম হবে। যেহেতু এটা গ্রিন ফিল্ড স্টেডিয়াম, সেহেতু এখানে আমাদের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। আপনারা জানেন যে মিরপুর স্টেডিয়ামকে আমরা কনভার্ট করেছি। সেই জন্য আমরা আন্তর্জাতিক মানের যারা স্টেডিয়াম করেছে তাদের কনসালটিং ফার্মকে নিযুক্ত দেয়ার ব্যাপারে একটা আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া করা হবে এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেন্ডার পদ্ধতিতে করা হবে।’ শনিবার প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্ট কমিটির প্রথম সভা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক মাহবুবুল আনাম ছাড়াও বিসিবির বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ে আপাতত পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির বাকি চার সদস্য হলেন বোর্ড পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, ফ্যাসিলিটিস কমিটির চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন ভুঁইয়া, ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সোহেল এবং পারচেজ কমিটির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন। এর বাইরেও আরও তিনজন কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, একজন চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং একজন আইনবিদকে রাখা হবে কমিটিতে। প্রথম সভায় পরিচিতি পর্ব হয়েছে। কিভাবে কাজ করা হবে তার পরিকল্পনা হয়েছে। একটা রূপরেখা দাঁড় করানো হয়েছে। দৃশ্যমান কাজ কবে থেকে শুরু হবে? মাহবুবুল আনাম জানান, ‘স্টেডিয়ামের ফিজিক্যাল কাজ আগামী শীত মৌসুমের আগে করা হবে না। বিসিবি অলরেডি একটা কনসেপ্ট ড্রয়িং তৈরি করেছে। ওই কনসেপ্ট ড্রইংটাকে এনলার্জ করা এবং এর মধ্যে আমাদের অন্য যে জিনিসগুলো থাকবে, ড্রেসিং রুম বলেন বা যাই বলেন, সেগুলোকে আরও ডিটেইল করা। বিসিবি বোর্ড ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে একটা স্টেডিয়াম থাকবে। এখানে একটা একাডেমি গ্রাউন্ডের মতো থাকবে। তার মানে আমরা দুটো মাঠ পাব। ওই জিনিসগুলো অলরেডি বিসিবি ডিসাইড করেছে। ৩৭ একর আছে, ওখানে কি কি করা সম্ভব সেটা আমরা ভেবে রেখেছি। তো পূর্ণাঙ্গভাবে আমাদের যে আর্কিটেকচারাল ডিজাইন বলেন, সেক্ষেত্রে আমাদের এগোতে হবে।’
×