ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মরণচাঁদের মিষ্টিতে তেলাপোকার ডিম, জরিমানা

প্রকাশিত: ১০:৩০, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

 মরণচাঁদের মিষ্টিতে  তেলাপোকার  ডিম, জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শত বছরের সুনাম নিয়ে মাথা উঁচু করে আছে পুরান ঢাকার বিখ্যাত মরণচাঁদের মিষ্টি। এর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহসই বা কার? অথচ শনিবার ওই মিষ্টির ওপরেই পড়ে থাকতে দেখা যায় তেলাপোকার ডিম। যিনি অভিযান চালিয়েছেন সেই কর্মকর্তাও বিস্মিত এই ভেবে যে, তাহলে এতকাল কি আমরাও এই তেলাপোকার ডিমই খেয়েছি। তার প্রশ্নের জবাব দেয়ার মতো কারও সাহস ছিল না ওই দোকানে। মিথ্যা করেও কোন অজুহাত দেখাতে পারেনি কেন এখানে থাকবে তেলাপোকার ডিম। ফলে পরিণতিটাও- হয়েছে সেরকমই। নগদ জরিমানা এক লাখ টাকা। শনিবার রাজধানীর নবাবপুর এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে এ জরিমানা করা হয়। অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে হচ্ছে মিষ্টি। বিক্রি হচ্ছে খোলা অবস্থায়। মিষ্টির ওপরে যে নেট রয়েছে- সেখানে তেলাপোকার ডিমে ভর্তি। তিনি বলেন, মরণচাঁদের মিষ্টির অনেক সুনাম রয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি মিষ্টি তৈরি করছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। তারা যে নেট ব্যবহার করছে- সেখানে তেলাপোকার ডিমে ভর্তি। এসব অভিযোগে ভোক্তা আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ ধরনের কোন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অধিদফতরের এ কর্মকর্তা জানান, আজকে একই এলাকায় লাল চাঁন মিষ্টির দোকানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের ফাহমিনা আক্তার, ইন্দ্রানী রয় এবং জান্নাতুল ফেরদাউস। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন ওয়ারী থানা পুলিশ। একই দিন রান্নায় পোড়া তেল ব্যবহার করায় মিরপুরে সিএফসিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। মিরপুর-১ গোলচত্বর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটি। ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন- রান্নায় পোড়া তেল, রান্না করা মাংসের সঙ্গে কাঁচা মাংস রাখা, বাসি গ্রিল, বিদেশী মোড়কজাত পণ্যের গায়ে আমদানিকারকের স্টিকার ও এমআরপি না থাকায় আরও তিন প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকাসহ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে টাইম ফার্মাকে ১০ হাজার টাকা, আল্লাহর দান রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার এবং একটি বেকারিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
×