ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত

প্রকাশিত: ১০:২৯, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

 রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত

বিডিনিউজ ॥ বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও ভুটান। শনিবার সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে এই আগ্রহের কথা উঠে আসে। সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছালে আবদুল হামিদ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৈঠক করেন তারা। চারদিনের সফরে শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছান লোটে শেরিং। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটিই বিদেশী কোন সরকার প্রধানের প্রথম বাংলাদেশ সফর। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গভবনে সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভুটান বালাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ। ভুটানের সঙ্গে সম্পর্ককে বালাদেশ বিশেষ গুরুত্ব দেয়। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা বলেন, সাক্ষাতের সময় বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে দুইদেশের আগ্রহের কথা উঠে আসে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের সম্পর্ক ক্রমশ বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আশা করেন এই সফরের ফলে এ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য, কৃষি, নৌ-পরিবহন, পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং জনপ্রশাসন খাতে প্রশিক্ষণের বিষয়ে দুইদেশের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক ও এসওপি সই হয়। ভুটানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়িত হলে বাণিজ্য-বিনিয়োগ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলেও আশা করেন আবদুল হামিদ। সাক্ষাতের সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে মেডিক্যাল শিক্ষার্থী হিসেবে নিজের স্মৃতি তুলে বলেন, বাংলাদেশে আবার আসতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে দুইদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে তা মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিকসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের প্রশংসা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল ইসলামসহ বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×