ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শুকিয়ে যাওয়ার ৭০ বছর পর পুনর্জীবন

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

 শুকিয়ে যাওয়ার ৭০ বছর পর পুনর্জীবন

শুকিয়ে যাওয়ার ৭০ বছর পর পুনর্জীবন পেয়েছে চিউ নদীর একটি শাখা নদী। ইংল্যান্ডের সমারসেটের এই নদীটি প্রাণ ফিরে পাওয়ায় সেখানে বিভিন্ন নতুন প্রজাতি এবং হুমকির মুখে থাকা বিরল কিছু প্রাণীর বসবাসের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চিউ উপত্যকার হ্রদে পানি জমিয়ে রাখতে ১৯৫৬ সালে এক বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এর ফলে মেন্দিপ পর্বত থেকে সৃষ্ট চিউ নদীর নাম না জানা একটি শাখা নদী হুমকির মুখে পড়ে। এটি এ্যাভন নদীর ভাটিতে অবস্থিত। চিউ উপত্যকার এই হ্রদ থেকে ব্রিস্টল ও বাথে পানি সরবরাহ করা হতো। এক পর্যায়ে নদীটি শুকিয়ে যায় এবং মরে যায়। এর ফলে শেষ বরফযুগের পর থেকে এই নদীতে বসবাস করা এবং এর মধ্যে দিয়ে চলাচল করা জলজ প্রাণী তাদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাটি হারায়। পরে এই নদীটির গতিপথের পরিবর্তে পাথুরে একটি এলাকা দিয়ে জলাধারটির পানি মাঝে মাঝে প্রবাহিত করা হতো। এতে নদীটির জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যায়। ১৯৫০’এর দশকে পরিত্যক্ত পপলার ও এ্যাল্ডার (এক সময় ম্যাচের কাঠি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো) বাগানের ভেতর দিয়ে পানিপ্রবাহের আঁকাবাঁকা এই রুটটি নেয়া হয়েছে। ঘন কাঁটাযুক্ত গাছ ও আচ্ছাদন সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যাতে আলো আসতে পারে এবং জলজ প্রাণী সহজেই প্রবেশ করতে পারে। পর্যাপ্ত আলোতে যাতে জলজ গাছপালা জন্মায় সে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। নদীটির গতিপথকে নতুন রূপ দেয়া হয়েছে। এ্যাভন নদীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এমন তিনটি শাখার একটি হলো এই নদী। এতে হুমকির মুখে থাকা জলজ ইঁদুর, বাম জাতীয় মাছ ও হোয়াইট ক্লড ক্রেফিস এ জলপথে বিচরণ করতে পারে এবং পুনরায় বাস করতে পারে। এছাড়া যেসব মাছ ফিরে আসতে পারে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে স্যামন, মিঠাপানির মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। ইতোমধ্যে ভোদর, মাছরাঙ্গা, গৃহপেঁচা ও বিরল প্রজাতির বাদুর এ এলাকায় শিকারের জন্য আসছে। নদীতীরে বসন্তকালের কিছু তৃণফুল পুনরায় দেখা যাচ্ছে। সবুজ কাঠঠোকরা কিচিরমিচির করছে এবং কমলা রংয়ের প্রজাপতি সূর্যের আলোয় নেচে উঠছে। এছাড়া নীল রংয়ের ঘণ্টাসদৃশ ফুল, বুনোরসুন ও ফিকে হলুদ বুনো ফুলের গাছ গজিয়ে উঠেছে।-গার্ডিয়ান
×