ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কোচবিহারে ফের ভোট হতে পারে একটি বুথে

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

 কোচবিহারে ফের ভোট হতে পারে একটি বুথে

আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের কোন বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে না। তবে কোচবিহারের একটি বুথে তা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে কোচবিহারের ৬৩টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান বাম প্রতিনিধিরা। বিজেপির পক্ষ থেকে কোচবিহারের ২৯৭টি বুথে ফের ভোটের দাবি জানানো হয়েছে। দলীয় দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য বিজেপির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মুকুল রায় জানান, কোচবিহারে ২৯৭টি, আলিপুরদুয়ারে ৪২টি বুথে ফের ভোট চেয়েছেন তারা। রাজ্যের প্রথম দফা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কারচুপি এবং সহিংসতার অভিযোগ তুলে এ দিন নির্বাচন কার্যালয়ে যান নির্মলা সীতারামন, মুখতার আব্বাস নকভি। বিজেপির অভিযোগ, সব বুথে আধাসেনা না-থাকায় তাদের সমর্থকদের বাধা দিয়েছে তৃণমূল। পরে নির্মলা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বৃহস্পতিবার ১১০০টি বুথে কোন আধাসেনা ছিলেন না। তাই প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুজন জওয়ান মোতায়েন করার দাবি জানানো হয়েছে। ২৯৭টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে দল।’ সিইও অফিস সূত্রে জানা যায়, শীতলখুচির ১৮১ নম্বর বুথে দীর্ঘ সময় ভোট বন্ধ ছিল। সেখানে পুনর্নির্বাচন হতে পারে। কারণ ওই বুথে ‘মক পোল’-এর ভোট না-মুছেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছিল। অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু জানান, জেলাশাসক ও পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। সে রিপোর্ট যাবে নির্বাচন কমিশনে। এরপর পুনর্নির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ভোটের দিন দিনহাটায় ইভিএম ভাঙচুর হয়। শীতলখুচির ২৭২ নম্বর বুথে বহিরাগতরা ঢুকে পড়ে। ওই দুটি ঘটনায় দুই প্রিসাইডিং অফিসারকে শোকজ করা হয়েছিল। দুজনই ক্ষমা চেয়েছেন। দুই প্রিসাইডিং অফিসারের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে কমিশন। কোচবিহারে ৮৩.৮৮ শতাংশ এবং আলিপুরদুয়ারে ৮৩.৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। -ওয়েবসাইট
×