ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেসামরিক সরকার চাই

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

বেসামরিক সরকার চাই

সুদানে বিক্ষোভরত জনগণ ধর্মীয় বিভেদ অতিক্রম করে ঐক্যবদ্ধভাবে সামরিক শাসনের অবসান চাইছে। গণবিক্ষোভের তোড়ে সামরিক পরিষদের প্রধান আওয়াদ ইবনে আয়ুফ পদত্যাগ করে উত্তরসূরি হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আবদেল রহমানের নাম ঘোষণা করলেও খার্তুমে জনগণ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। তাদের দাবি, সামরিক বাহিনীকে অবিলম্বে বেসামরিক অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের। খার্তুমে সামরিক বাহিনীর প্রধান দফতরের সামনে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একটি পারস্পরিক সহযোগিতা প্রকাশ পাচ্ছে। তীব্র গরমে সুদানের সংখ্যালঘু ও নির্যাতিত কপটিক খ্রীস্টানদের একটি গ্রুপ শুক্রবার তাদের সঙ্গী মুসলিম বিক্ষোভকারীদের জন্য তীব্র রোদ থেকে দূরে নামাজের স্থানের ব্যবস্থা করেছে এবং শনিবার থেকে তারা এখানেই অবস্থান করছে। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফয়সাল সালিহ তাদের উদ্যোগকে সুদানী রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এটি এক মানবিক ও স্পর্শকাতর প্রভাব যা সুদানী জনগণের মধ্যে দীর্ঘদিন দেখা যায়নি। আরও গুরুত্বপূর্ণ যে, এতে কপটিকদের অবস্থানে পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে। এ খ্রীস্টানরা এখানে সব সময় ধর্মপ্রবণ ও সাংস্কৃতিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তারা কিছু ব্যতিক্রম ছদ্ম রাজনীতি এড়িয়ে থাকে। সামরিক প্রধান দফতরের বাইরে বিক্ষোভকারীরা সামরিক কর্তৃপক্ষের জারি করা সান্ধ্য আইন মানতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করছে। আহমদ মাহমুদ (৩১) নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, আমরা এখনও এখানে বিক্ষোভে রয়েছি। কারণ, প্রশাসনের অবস্থান এখানেই। তারা ক্ষমতা থেকে সরে যায়নি এবং তাদের সে ইচ্ছাও নেই। মাহমুদ তার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে নিয়ে এ আন্দোলনে রয়েছেন শুরু থেকে। মাহমুদ বলেন, আমরা একটি বেসামরিক অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য রক্ত ঝরিয়েছি। সামরিক পোশাকে অন্য কোন বুড়ো লোকের জন্য আমরা রক্ত দিইনি। মাহমুদ বলেন, আমরা ফ্রিডস এ্যান্ড চেঞ্জ ডিক্লারেশন চাই। বিক্ষোভকারী মেরাজ ওমের বলেন, ফ্রিডম এ্যান্ড চেঞ্জ ডিক্লারেশনের পক্ষের শক্তি যে পর্যন্ত ঘোষণা না করবে যে আমরা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ক্ষমতা পেয়েছি সে পর্যন্ত আমরা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখব। শুক্রবার জুমার পর বিক্ষোভকারীরা সামরিক শাসনের পরিবর্তনের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ জানায়। সালমা এলহাজ বলেন, একটি বেসরকারী সরকারের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমি ফিরে যাব না।
×