ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ার ধানখালী সড়ক বেহাল ॥ ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

 কলাপাড়ার ধানখালী সড়ক বেহাল ॥ ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৩ এপ্রিল ॥ বর্ষা মৌসুম এখনও শুরু হয়নি। কালবৈশাখী ঝড়ো-হাওয়া দু’একবার বয়ে গেছে। দু’এক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে। আর তাতেই সড়কটির বেহালদশা। হাঁটু সমান কাদায় একাকার। ধানখালী কলেজ বাজার এলাকার দৃশ্য। মালবাহী ট্রাক আটকে গেছে। একদিন আগে দৃশ্যটি দেখা গেল। প্রায় দুই কিমি সড়কের নাকালদশা। পানি-কাদার ঝাপটা লাগে পথচারী চলাচলেও। যানবাহন চলতে চরম ভোগান্তি। নোমরহাট থেকে কলেজ বাজার হয়ে লোন্দা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কের এক-তৃতীয়াংশ বর্ষার আগেই বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ গত দুই তিন বছর এই সড়ক দিয়ে বিসিপিসিএল এর ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের মালামালবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করেছে। ফলে সড়কটি ভেঙ্গে খানাখন্দে একাকার হয়ে গেছে। এরপর থেকে বছরের পর বছর অন্তত ৩০টি গ্রামের মানুষসহ স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। কেউ হেঁটে গেলেও যানবাহনের চাকার কাদা ছিটকে জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। যাচ্ছেতাই অবস্থা। ধানখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার জানান, এলজিইডি ডিপার্টমেন্ট করে দিচ্ছে বলে বহুবার বলেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত না করায় জনগণের ভোগান্তি চরমে। দীর্ঘ এই সড়কটির সিলকোট ছিল তা এখন আর বোঝার উপায় নেই। উঠে মাটির নিচে চলে গেছে। ভ্যাটস্সহ আস্ত ইট কয়েক দফা ফেলা হয়েছে। তা আবার ভারি যানবাহনের চাকার চাপে গর্তে ঢুকে দেবে গেছে। তিনটি বছর মানুষ দুর্ভোগ করে আসছে। এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে দু’এক পশলা বৃষ্টিতেই এখন বেহাল দশা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, ঠিকাদার কিছু অংশের কাজ করে ফেলে রাখায় তা আবার খানা-খন্দে একাকার হয়ে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, ওই সড়কের কলেজ বাজার এলাকায় দুই কিলোমিটার আগেই টেন্ডার হয়েছে।
×