ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাপক রদবদল ওয়েস্ট ইন্ডিজে

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

 ব্যাপক রদবদল  ওয়েস্ট ইন্ডিজে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপের মাত্র দেড় মাস আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের (ডব্লিউআইসিবি) কোচিং প্যানেল ও ম্যানেজমেন্টে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে প্রধান কোচ রিচার্ড পাইবাসকে। অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন ফ্লয়েড রেইফার। এছাড়া কোর্টনি ব্রাউনের স্থলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করবেন রবার্ট হেইন্স। নতুন কোচ এবং নির্বাচক দু’জনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। ডব্লিউই-আইসিবির সভাপতি রিকি স্কেরিট বলেন, আমরা নিশ্চিত যে আমাদের অন্তর্ভুক্তি দর্শন ও নির্বাচন নীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হিসেবে মিঃ হেইন্সকে খুঁজে পেয়েছি। রেইফার ওয়েস্ট ইন্ডিজ শ্রেষ্ঠত্বের নীতিমালা ধরে রেখেছেন যা দিয়ে আমরা এখন আমাদের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চাই। ২০০৯ সালে উইন্ডিজ জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটাররা যখন বিদ্রোহ করছিল, তখন বাংলাদেশের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজে এবং পরে সে বছর হওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অধিনায়কত্ব করেছিলেন ৪৬ বছর বয়সী রেইফার। এবার তিনি দেশের ক্রিকেটে পদার্পণ করলেন প্রধান কোচ হিসেবে। তবে এখনই তাকে চূড়ান্ত করেনি বোর্ড। বরং অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্যই দায়িত্ব দিয়েছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের নবনির্বাচিত সভাপতি রিকি স্কেরিট। এছাড়া উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পুরো নির্বাচক কমিটি বাতিল ঘোষণা করে দেয়া হয়েছে। যার ফল ২০১৩ থেকে নির্বাচকের এবং ২০১৬ থেকে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা কোর্টনি ব্রাউন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তার বদলে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার রবার্ট হেইন্স। এছাড়া গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন রেইফার। কোচ হিসেবে একটি টি২০ সিরিজ জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। উইন্ডিজ নবনির্বাচিত বোর্ড প্রধান স্কেরিট আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক অবস্থা বিবেচনায় আমাদের মনে হয়েছে নির্বাচক কমিটিটা আরও বেশি উন্মুক্ত, যুক্তিসঙ্গত এবং খেলোয়াড়বান্ধব হওয়া উচিত। যে কারণে আমরা আমাদের সিলেকশন পলিসিতেও বদল এনেছি। আমি সবাইকে নিশ্চিত করতে চাই যে অতীতে গোপনে বা প্রকাশ্যে যেসব খেলোয়াড় বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তারা সবাই এখন থেকে পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে জাতীয় দলের বিবেচনায় থাকবে।’ খেলোয়াড় নির্বাচন পদ্ধতি স্বচ্ছ রাখতে নতুন কোচ ফ্লয়েড রেইফার এবং বোর্ড ডিরেক্টর জিমি এ্যাডামস সার্বিক সহযোগিতা করবেন নতুন প্রধান নির্বাচক হেইন্সকে। বহিষ্কৃত প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে কমিটিতে থাকা অন্যান্য নির্বাচক লকার্ট সেবাস্তিন, ট্রাবিস ডাওলিন এবং এলডিন বাপতিস্তকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাইবাসের ওপর নাখোশ ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বহু সিনিয়র ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য দলে ঠাঁই পেতে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করেছিলেন তিনি। ক্রিকেটাররা এই সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে তখন তার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন দ্বন্দ্বে। এ কারণে বেশ কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার জাতীয় দলকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন টি২০ লীগে খেলা বেছে নিয়েছিলেন। এবার কোচ পরিবর্তন হওয়ায় ডোয়াইন ব্রাভো, কাইরন পোলার্ড এবং আন্দ্রে রাসেলের মতো তারকার জন্য দরজা খুলে যেতে পারে।
×