ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাটিংয়ে শীর্ষে রকিবুল, বোলিংয়ে ফরহাদ রেজা

ডিপিএলে সবার ওপরে রূপগঞ্জ

প্রকাশিত: ১১:৪০, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

ডিপিএলে সবার ওপরে রূপগঞ্জ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের লীগপর্ব শেষ। বৃহস্পতিবার শেষ হয় এই পর্ব। লীগপর্ব শেষে দলীয়ভাবে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে। ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখিয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক হয়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের রকিবুল হাসান। তিনি ১১ ম্যাচে ১টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৬০.৫৫ গড়ে ৫৪৫ রান করেছেন। বল হাতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার হলেন প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের ফরহাদ রেজা। তিনি ১১ ম্যাচে ২৭ উইকেট শিকার করেছেন। লীগপর্ব শেষে এবার সুপার লীগ শুরু হওয়ার পালা। প্রতিটি দল লীগপর্বে ১১টি করে ম্যাচ খেলেছে। সুপার লীগে খেলবে রূপগঞ্জ (১০ ম্যাচ জয়ে ২০ পয়েন্ট), আবাহনী লিমিটেড (৮ ম্যাচ জয়ে ১৬ পয়েন্ট), প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব (৮ ম্যাচ জয়ে ১৬ পয়েন্ট), প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব (৭ ম্যাচ জয়ে ১৪ পয়েন্ট), মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (৬ ম্যাচ জয়ে ১২ পয়েন্ট) ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব (৬ ম্যাচ জয়ে ১২ পয়েন্ট)। সুপার লীগ থেকে শুরু হবে দলগুলোর শিরোপা জয়ের মিশন। এই মিশনে এগিয়ে থাকছে রূপগঞ্জ। দলটি সুবিধাজনক স্থানে আছে। চারটি ম্যাচ জিততে পারলেই শিরোপা ঘরে তুলবে। তবে রূপগঞ্জের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে আবাহনী ও প্রাইম ব্যাংক। প্রাইম দোলেশ্বর, মোহামেডান ও শেখ জামালের শিরোপা জেতা কঠিন। রূপগঞ্জ সুপার লীগে যত বেশি ম্যাচ জিতবে দোলেশ্বর, মোহামেডান ও শেখ জামালের শিরোপা স্বপ্ন তত দ্রুত শেষ হবে। রূপগঞ্জ ২ ম্যাচ জিতলেই মোহামেডান ও শেখ জামালের শিরোপা স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। তখন মোহামেডান ও শেখ জামাল টানা ৫ ম্যাচ জিতলেও শিরোপা পাবে না। রূপগঞ্জ দুই ম্যাচ জিতলেই যে হয়ে যাবে ২৪ পয়েন্ট। মোহামেডান ও শেখ জামাল ৫ ম্যাচ জিতলেও হবে ২২ পয়েন্ট। রূপগঞ্জ তিন ম্যাচ জিতলে আবার দোলেশ্বরেরও শিরোপা স্বপ্ন শেষ হবে। তবে আবাহনী ও প্রাইম ব্যাংক এখন রূপগঞ্জের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে। শিরোপা জেতার ক্ষেত্রে আবাহনী ও প্রাইম ব্যাংকই রূপগঞ্জকে ঠেকাতে পারে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত এবারের আসরের শিরোপা কোন দল জিতে। দলীয় নৈপুণ্যে যেখানে রূপগঞ্জ ঝলক দেখাচ্ছে সেখানে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে রকিবুল ও ফরহাদ রেজা ঝলসে উঠেছেন। রকিবুল এখন শীর্ষ রান সংগ্রাহক। তার ধারে কাছে অবশ্য আছেন কয়েকজন ব্যাটসম্যান। আবাহনীর জহুরুল ইসলাম অমি (৫৩১ রান), প্রাইম ব্যাংকের এনামুল হক বিজয় (৫১১ রান), দোলেশ্বরের সাইফ হাসান (৫০৬ রান) ৫০০ রানের ওপরে করেছেন। এরপর দেশী ক্রিকেটারদের দাপটে একটু ভাটা তৈরি করেছেন প্রাইম ব্যাংকের ভারতের দেরাদুনের ব্যাটসম্যান অভিমন্যু ঈশ্বরন (৪৯৬ রান)। রূপগঞ্জের যুবক মোহাম্মদ নাঈমও (৪৬৪ রান) দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখান। এ ব্যাটসম্যানদের মধ্যেই হয়তো সুপার লীগে সেরা ব্যাটসম্যান হওয়ার লড়াইটা জমবে। ব্যাটিংয়ে যেখানে লড়াই জমার সম্ভাবনা উজ্জ্বল, সেখানে বোলিংয়ে ফরহাদ রেজা অনেক এগিয়ে গেছেন। ২৭ উইকেট নিয়ে অনেক ওপরে ফরহাদ। সুপার লীগে ওঠা দলগুলোর মধ্যে মোহামেডানের সোহাগ গাজী (১৬ উইকেট) আছেন ফরহাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। তাতেই বোঝা যাচ্ছে রেজাই এবার সেরা বোলার হতে যাচ্ছেন। ফরহাদের পরে আছেন খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতির রবিউল হক (২২ উইকেট), বিকেএসপির হাসান মুরাদ (২০ উইকেট), শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের দেলোয়ার হোসেন (১৯ উইকেট), গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কামরুল ইসলাম রাব্বি (১৭ উইকেট)। ফরহাদ রেজার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের সম্ভাবনা অনেক প্রবল হয়ে উঠেছে। যে ধারাবাহিকতা ফরহাদ লীগপর্বে দেখিয়েছেন, এখন সুপার লীগে দেখাতে পারলেই হলো। নাহলে সোহাগ গাজী, দোলেশ্বরের আরাফাত সানি (১৬ উইকেট), রূপগঞ্জের নাবিল সামাদ (১৫ উইকেট), মোহাম্মদ শহীদরা (১৫ উইকেট) ফরহাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেন।
×