ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সেতুর অভাবে ১৬ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ১০:৫২, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

 সেতুর অভাবে ১৬ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ রৌমারী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা বড়াইবাড়ী, ঝাউবাড়ী, পূর্ববারবান্দা, চুলিয়ারচর, বারবাদ্ধা, বাওয়াইরগ্রাম, বকবান্ধা, খেওয়ারচর, পূর্বদুবলামারী, ইজলামারী, চরইজলামারী, পাটাধোয়ারপার, চরকলাবাড়ি, কলাবাড়ী, দুবলাবাড়ী, নয়াগ্রাম ও পুরনো যাদুরচর গ্রামসহ এসব এলাকার ৩৫ হাজার মানুষ একটি সেতুর অভাবে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে রয়েছে। ২২ বছর আগে কাশিয়াবাড়ী গ্রামের পূর্ব পাশের খালের রাস্তা ভেঙ্গে গেলে এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি একটি সেতু। বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বিশেষ করে বর্ষাকালে ছাত্রছাত্রীদের এবং বয়স্ক মানুষদের যাতায়াতে চরম কষ্ট হয়। যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী খালে গ্রামবাসীরা নিজেদের অর্থায়নে ১শ’ ২০ ফুট একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে। এটাই ওইসব গ্রামবাসীর একমাত্র ভরসা। চরম ঝুঁকি নিয়ে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে ভ্যান ও রিক্সা যাতায়াত করে। চুলিয়ারচর গ্রামের আবদুর রহমান (৪৫) জানান, একটি সেতুর অভাবে কয়েক গ্রামের মানুষ চরম কষ্টে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে। তাদের মালামাল পরিবহন করতে চরম কষ্ট হয়। মালামাল পরিবহন করতে অনেক ভাড়া বেশি লাগে। দুই দশক আগে রাস্তা ভেঙ্গে গেলেও এখন পর্যন্ত রাস্তা এবং খালের ওপর সেতু নির্মিত হয়নি। কলাবাড়ী গ্রামের শিক্ষক ইমদাদুল হক জানান, একটি ব্রিজের অভাবে ১৬ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের কষ্ট হচ্ছে। উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে ওইসব গ্রাম। মুক্তিযোদ্ধা শাহার আলী জানান, প্রতিবছর গ্রামের মানুষ নিজস্ব অর্থায়নে বাঁশের সেতু নির্মাণ করে চলাচল করে। তিনি আরও জানান, কয়েকবার স্থানীয় প্রকৌশলীরা সেতুর মাপ জোক নিলে গ্রামবাসীদের মনে আশার সঞ্চার হয়। তারা মনে করেন এবার সেতুটি নির্মাণ হবে। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই সব আশাই গুড়েবালি হয়। বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সেতুটির অর্ধেক ভেঙ্গে গেছে। মানুষ এখন খালের পাশ দিয়ে ইরি বোর ক্ষেতের আইল দিয়ে চলাচল করে। যাদুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, কাশিয়াবাড়ী খালে সেতু না থাকায় ১৬ গ্রামের ৩৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
×