ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জয়পুরহাটে বাস উল্টে ৮ জন নিহত

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

 জয়পুরহাটে বাস উল্টে ৮ জন নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ১২ এপ্রিল ॥ জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বানিয়াপাড়া নামকস্থানে জয়পুরহাটগামী একটি বাস উল্টে ঘটনাস্থলেই ৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছে ২৯জন। আহতদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে ১০ জনকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে জয়পুরহটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এম পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-জ ০৪-০৩৫০) বাসটি দ্রুতবেগে আসার পথে শুক্রবার দুপুরে জয়পুরহাট সদর উপজেলার বানিয়াপাড়ায় এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৮জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৫জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের জাকিয়া সুলতানা (৭০), একই উপজেলার পশ্চিম কড়িয়া গ্রামের হুমাইয়া জান্নাত (৭ মাস), জেলার কালাই উপজেলার কাদরিপুর গ্রামের হেনা (৩২), গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার আমবারির শারমিন বেগম (১৭) এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার রিপা মুর্মু (৩)। নিহত অপর ৩জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এদিকে আহতদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে ১০জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বগুড়া পাঠানো হয়। আহত যাত্রীরা হলো আবুল হোসেন (৬৫), অরন ম-ল (৬০), আসলাম (৩৮), সঞ্জয় বিশ্বাস (৩০), আলম (৩০), রাসেল (৩০), সিরাজুল ইসলাম (২১), ফেরদৌস আলী (৩০), এহসানুল (৩৫), মুকুল (৩২), আবু বক্কর সিদ্দিক (৪০), আলাউদ্দিন আলী (৩৪), মতিয়র রহমান (৩৫), সাজেদা বেগম (৪৫), সালেহা বেগম (৩০), প্রমিলা (২৮), আয়না বেগম (৩০), মোস্তাকিম (৩), জবা (৩৫), আয়েশা সিদ্দিক (২০), পপি (২৮), সোহাগী (১০), কলিমদ্দিন (৬৫), আবেদ আলী (৫০), সুফিয়া (৪৫), মাইশা (৩), তারিন (৫০), মিশু (২২) এবং ৩ বছরের অজ্ঞাত শিশু। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক জিয়াউল হক পালিয়ে যায়। যাত্রীরা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাসটি টার্মিনালে পৌঁছার জন্য চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসছিল। এদিকে সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু, জেলা প্রশাসক মোঃ জাকির হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান আহতদের দেখতে যান। সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক নিহতদের প্রত্যেক পরিবারের প্রতি ২০হাজার টাকা এবং পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ৫হাজার টাকা প্রদানের কথা জানান। জেলা বিএমএ (চিকিৎসকদের সংগঠন) আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল ব্যবস্থা তদারকি করছেন। পুলিশের এসআই নিহত ॥ স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বন্দরের মালিবাগ এলাকায় কভার্ডভ্যানের চাপায় কাঁচপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহমেদ (৩৮) নিহত হয়েছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ঘাতক কভার্ডভ্যানটি আটক করতে পারলেও চালক ও হেলপার পলাতক। জানা গেছে, বন্দরের লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসবে আগত পুণ্যার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য ভোর পাঁচটা থেকে মহাসড়কের বন্দরের মালিবাগ এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকসহ যানবাহনগুলো সরানোর দায়িত্ব পালন করছিলেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক ফরিদ আহমেদ। এ সময় একটি কভার্ডভ্যান বেপরোয়া গতিতে এসে ফরিদ আহমেদকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। সঙ্গে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘাতক কভার্ডভ্যানটি আটক করলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। নিহত ফরিদ আহমেদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার গ্যারোয়া গ্রামে। তার পিতার নাম মানিক জমাদার। আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা নিহত ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা থেকে জানান, চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ছিটকে পড়ে আনসার ভিডিপির খালিয়াজুরি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেরা আক্তার (৫০) নিহত হয়েছেন। তিনি খালিয়াজুরি উপজেলা সদরের ভাঙ্গাহাটি গ্রামের আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী। শুক্রবার বিকেলে খালিয়াজুরি-মদন সড়কের কুলিয়াটি গ্রাম সংলগ্ন কদমতলি বাজারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জাহেরা আক্তার ও তার স্বামী আবুল কালাম আজাদ একটি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে নেত্রকোনা সদরে যাচ্ছিলেন। জাহেরা আক্তার মোটরসাইকেলের পেছনদিকে বসা ছিলেন। মদন উপজেলার কুলিয়াটি গ্রাম সংলগ্ন কদমতলি বাজারের কাছে পৌঁছলে তিনি হঠাৎ ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। এতে তার মাথা ফেটে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হতে থাকলে দ্রুত তাকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেহেরপুরে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে পথচারী নিহত ॥ সংবাদদাতা মেহেরপুর থেকে জানান, গাংনীতে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে সিদ্দিকুর রহমান (৬৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মালশাদহ-বারাদি সড়কের হাড়িয়াদহ নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সিদ্দিকুর রহমান হাড়িয়াদহ গ্রামের আবুল শেখের ছেলে। এদিকে ট্রাক ও ট্রাকের চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার পিপিএম জানান, গাংনী উপজেলার মালশাদহ-বারাদি সড়কের হাড়িয়াদহ নামকস্থানে একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রাককে সাইড দিতে গেলে রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া পথচারীকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ছিটকে পড়ে তার মৃত্যু হয়। ট্রাকের নং কুষ্টিয়া ট-১১-২৭৮৫। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক জহুরুল হককে আটক করা হয়েছে এবং ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।
×