ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাটকীয় জয়ে সুপার লীগে মোহামেডান

প্রকাশিত: ১২:১৭, ১২ এপ্রিল ২০১৯

নাটকীয় জয়ে সুপার লীগে মোহামেডান

মিথুন আশরাফ ॥ আবাহনী লিমিটেড, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবও ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের সুপার লীগে উঠেছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে (বিকেএসপি) ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান। এই জয় পেয়ে মোহামেডানও ষষ্ঠ দল হিসেবে সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত করেছে। একইদিন খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে বৃষ্টি আইনে ১৫ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ৩৪ রানে হেরেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। মোহামেডান-বিকেএসপি ম্যাচ, ফতুল্লা ॥ ম্যাচটিতে জিতলেই সুপার লীগে খেলবে মোহামেডান। হারলে বিদায় ঘণ্টা বাজতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আগে ব্যাট করে যখন ৭ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৪৯ রান করে বিকেএসপি, তখন মোহামেডান ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ তৈরি হয়। আমিনুল ইসলাম ৬০ ও শামিম হোসেন ৪৯ রান করে এই চাপ তৈরি করেন। কিন্তু অভিষেক মিত্র (৬৫) ও লিটন কুমার দাসের (৫৩) সঙ্গে ইরফান শুকুর (৪১) দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। এরপরও ২৪১ রানে যখন ৯ উইকেট পড়ে যায় তখন হারের সম্ভাবনা জেগে ওঠে। শেষ পর্যন্ত কাজী অনিক (১৩*) ও সাকলায়েন সজিব (৫*) মিলে অনেক বুদ্ধির সঙ্গে খেলে ম্যাচ জেতান। ৪৯.৫ ওভারে ২৫২ রান করে ম্যাচ জিতে মোহামেডান। এই জয়ে সুপার লীগে খেলাও নিশ্চিত হয়। স্কোর ॥ বিকেএসপি ইনিংস- ২৪৯/৭; ৫০ ওভার (আমিনুল ৬০, শামিম ৪৯, ইমন ৩৮, আকবর ৩৮, ফাহাদ ৩২; রাহাতুল ৩/৩৭)। মোহামেডান ইনিংস- ২৫২/৯; ৪৯.৫ ওভার (অভিষেক ৬৫, লিটন ৫৩, ইরফান ৪১, রকিবুল ৩৫; মুরাদ ৪/৩০)। ফল ॥ মোহামেডান ১ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ অভিষেক মিত্র (মোহামেডান)। শাইনপুকুর-খেলাঘর ম্যাচ, মিরপুর ॥ মোহামেডান ও গাজী গ্রুপ জিতলে শাইনপুকুর জিতলেও কোন কাজ হতো না। সুপার লীগে খেলতে পারতো না। এরপরও তাদের আশা ছিল। যদি কোনভাবে মোহামেডান ও গাজী গ্রুপ হেরে যেত, তাহলে শাইনপুকুর জিতলেই সুপার লীগে খেলতো। জিতল ঠিকই শাইনপুকুর। কিন্তু মোহামেডান জেতায় আর সুপার লীগে খেলা হলো না। ম্যাচটিতে আগে ব্যাটিংয়ে ৪৮.২ ওভারে খেলাঘর ১৯০ রান করে অলআউট হয়। দেলোয়ার হোসেন ৩ উইকেট নিয়েছেন। মাসুম খান ৪০ রান করেন। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪১ ওভারে ১৬৫ রান করে শাইনপুকুর। এমন সময় বৃষ্টি আসে। খেলা বন্ধ হয়। আর হয়নি। তখন বৃষ্টি আইনের হিসেব মিলিয়ে দেখা হয় সেখানে এই সময়ের মধ্যে ১৫১ রান করলেই শাইনপুকুরের জয় হয়। এমন হিসেব দাঁড়ালে শাইনপুকুর জিতে যায়। স্কোর ॥ খেলাঘর ইনিংস- ১৯০/১০; ৪৮.২ ওভার (মাসুম ৪০, অমিত ৩৭; দেলোয়ার ৩/২৭, হামিদুল ২/২৩)। শাইনপুকুর ইনিংস- ১৬৫/৬; ৪১ ওভার (সাদমান ৬৪, উন্মুক্ত ৩৪, ধীমান ৩১*; রবি ২/২৬)। ফল ॥ শাইনপুকুর বৃষ্টি আইনে ১৫ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ সাদমান ইসলাম (শাইনপুকুর)। প্রাইম ব্যাংক-গাজী গ্রুপ ম্যাচ, বিকেএসপি ॥ সুপার লীগে খেলতে হলে গাজী গ্রুপকে জিততেই হতো। জিতলেই আবার হতো না, মোহামেডানকেও হারতে হতো। কিন্তু মোহামেডান জিতে যাওয়ায় গাজী গ্রুপের আর কোন আশা থাকেনি। আশা দূরে থাক, গাজী গ্রুপতো জিততেই পারেনি। দলটি ৯ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে প্রাইম ব্যাংকের করা ২০১ রানকেই টপকে যেতে পারেনি। ৪৫.২ ওভারে ১৬৭ রান করতেই গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ। স্কোর ॥ প্রাইম ব্যাংক ইনিংস- ২০১/৯; ৫০ ওভার (আরিফুল ৩৪, নাঈম ৩৪, মনির ২৫*; সঞ্জিত ৩/৩০)। গাজী গ্রুপ ইনিংস- ১৬৭/১০; ৪৫.২ ওভার (মাইশুকুর ৭৪, শামসুর ২৭; নাঈম ২/৩৯, কাপালী ২/১৩)। ফল ॥ প্রাইম ব্যাংক ৩৪ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাঈম হাসান (প্রাইম ব্যাংক)।
×