ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি

প্রকাশিত: ১১:৩০, ১২ এপ্রিল ২০১৯

বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি

মোরসালিন মিজান ॥ বিদায় নিচ্ছে আরও একটি বছর। আগামীকাল শনিবার ১৪২৫ বঙ্গাব্দের শেষ দিন, চৈত্র সংক্রান্তি। এদিন অনেকেই পেছন ফিরে তাকাবেন। এক বছরে কত পাওয়া হলো? হারাতে হলো কী? ঢাকার মানুষও এই হিসাব কষবেন। আঙ্গুলে গুনে সুখী হবেন কেউ। কেউ ডুববেন হাতাশায়। নুসরাতের কথাই ধরা যাক। যৌন নিপীড়নের শিকার মেয়েটি বিচার চাওয়ায় তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হলো। পুড়িয়ে মারা হলো মেয়েটিকে। ফেনীর সোনাগাজীর ঘটনা। রাজধানীতে এসে শেষ হলো। ছটফট করতে করতে মারা গেল মেয়েটি। এই সমাজকে এই সমাজের মানুষকে অপরাধী করে চলে গেল সে। ১৪২৫ বঙ্গাব্দের শেষ দিনে এমন আরও অনেক ইস্যু সামনে আসবে। এসবের বাইরে পুরনো আচার মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। শহর ঢাকায়ও চৈত্র সংক্রান্তির প্রস্তুতি চলছে। শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসবের আয়োজন করবে সুরের ধারা। চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে সম্মেলক গান, একক সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য। অবশ্য এখন বছর বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা অত সামনে আসে না। নববর্ষ বরণের বর্ণাঢ্য উৎসবে মাতেন সবাই। এবারও জোর প্রস্তুতি চলছে। শুরুটা হবে ছায়ানটের সঙ্গে। বছরের প্রথম দিন ভোরে রমনার অশ্বত্থ তলে সমবেত হবেন সব বয়সী মানুষ। গানে কবিতায় বরণ করে নেবেন ১৪২৬ বঙ্গাব্দকে। আর সবচেয়ে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভযাত্রা বের করা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে। দিন-রাত সেই প্রস্তুতি চলছে। দারুণ মুখরিত এখন ক্যাম্পাস। শিল্পীরা কাজ করে চলেছেন। আর মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন উৎসবপ্রেমীরা। মঙ্গল শোভাযাত্রার স্ট্রাকচারাল ফর্মগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। চলছে গল্প আড্ডা। পহেলা বৈশাখ সকালে সুরের ধারার একই মঞ্চ থেকে বরণ করে নেয়া হবে নতুন বছরকে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের খোলা প্রাঙ্গণ থেকে একসঙ্গে গাইবে হাজারও কণ্ঠ। আয়োজনের অগ্রভাগে থাকবেন খ্যাতিমান শিল্পী ও সুরের ধারার চেয়ারম্যান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। একই স্থানে একটি মেলার আয়োজন করা হবে। বর্ষবরণ উৎসব চলবে বেলা ২টা পর্যন্ত। পহেলা বৈশাখের আরেক ঐতিহ্য আলপনা। মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এবারও আলপনা আঁকা হবে। আসাদ গেটের প্রান্ত থেকে খামারবাড়ি মোড় পর্যন্ত রাস্তা রং দিয়ে আঁকবেন শিল্পীরা। এসবের বাইরে প্রতি ঘরে পাড়ায় মহল্লায় ক্রমে দৃশ্যমান হচ্ছে বৈশাখ। রঙিন হয়ে উঠছে চারপাশ।
×