ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গানই কৃষ্ণা তিথির ধ্যান জ্ঞান

প্রকাশিত: ১৩:০০, ১১ এপ্রিল ২০১৯

গানই কৃষ্ণা তিথির ধ্যান জ্ঞান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চ্যানেল-আই আয়োজিত গানের প্রতিযোগিতা ‘চ্যানেল-আই সেরাকণ্ঠ ২০০৯’-খ্যাত শিল্পী কৃষ্ণা তিথি। ২০০৯ সালের এ আসরে তিনি চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। সেরাকণ্ঠের মঞ্চে ‘শত জনমের স্বপ্ন’, ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’ এ দুটি গান পরিবেশন করে তিনি দর্শকশ্রোতা ও উপস্থিত বিচারকম-লীর মন জয় করে নেন। এর পরের বছরে তিনি ‘সেরাদের মহাযুদ্ধ’ নামক আরেকটি গানের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেরাকণ্ঠের সকল প্রতিযোগীদের নিয়ে এ বিশেষ প্রতিযোগিতায় কৃষ্ণা তিথি বিজয়ী হন। একই বছর, ২০১০ সালে তাঁর প্রথম একক এ্যালবাম মুক্তি পায়। যার নাম ‘মিক্স সালাদ’। বাংলা আধুনিক ও ক্লাসিক্যাল উভয় গানেই তাঁর রয়েছে ভাল দখল। নজরুল একাডেমি এবং ছায়ানটে গান শিখলেও গানে মূল হাতেখড়ি তাঁর বাবা তাপস কুমার খানের হাতেই। তার বাবা বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের কণ্ঠশিল্পী। তিথি মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই কৃষ্ণা তিথি শিখছেন গান। পুরোপুরি সঙ্গীত ও সংস্কৃতি মনা পরিবারে বেড়ে ওঠা তিথির গানের গুরু ওস্তাদ জাকির হোসেন খান। ভাই শিখেছেন তবলা আর বোনও সঙ্গীতশিল্পী। এমন পারিবারিক সংস্কৃতিতে তিথি হয়ে উঠবেন পুরোদস্তুর গায়িকা এটাই তো স্বাভাবিক। এক সময়ের শিশুশিল্পী হিসেবে অসংখ্য অনুষ্ঠানে গেয়েছেন। ছোট বয়স থেকেই তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কারও হয়েছেন। ২০০৪ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হোন। ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’ এ আসরটিই তাঁকে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তাকে এনে দেয় দেশব্যাপী খ্যাতি। গানের চর্চার পাশাপাশি একজন সফল পেশাজীবীও তিনি। উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে এখন ব্যবসা বিশ্লেষক পদে কর্মরত আছেন একটি অর্থবিষয়ক প্রতিষ্ঠানে। চাকরিসূত্রেই থাকা হয় নিউইয়র্ক, সুদূর আমেরিকায়। তারপরেও তিথি ঠিকই সময় বের করে চর্চা চালিয়ে যান। অনুষ্ঠানে গান করেন। তাঁর ধ্যান জ্ঞান যে গানই।
×