ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দর্শনাথীদের ক্ষোভ

বরিশালে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত হিমনীড়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ১১ এপ্রিল ২০১৯

বরিশালে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত হিমনীড়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত নগরীর অন্যতম ঐতিহ্য ‘হিমনীড়’। বিরল প্রজাতির বিভিন্ন বৃক্ষশোভিত বিশাল এলাকাটির অন্যতম আকর্ষণ পদ্মপুকুর। স্থানীয় বা ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান এ হিমনীড়ে শুধু মালিকানা দাবির ভিত্তিতে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার বন্ধ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে নগরবাসী ও ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে। নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন রাজা বাহাদুর সড়কের পাশে প্রায় ছয় একর জমিতে হিমনীড়ের অবস্থান। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সেখানে। কাঠের তৈরি আকর্ষণীয় দ্বিতল বাংলোর সামনের পুকুরে বছরের বারো মাস ফোটে পদ্ম ফুল। পুকুরের চারপাশে অর্জুন, শ্বেতচন্দন, অশোক, অশ্বত্থ বৃক্ষ ছাড়াও রয়েছে কাঁঠালচাপা, গোলাপ, রাধাচূড়া, হাসনাহেনা, নয়নতারা, ডালিয়া, জিনিয়া ফুলসহ নানা প্রজাতির উদ্ভিদ। প্রতিদিন সহ¯্রাধিক মানুষ হিমনীড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে আসেন। হিমনীড় ও পদ্মপুকুরের পাশাপাশি এখানে রয়েছে শিলানীড়, ছায়ানীড় ও চানবাংলো। সস্প্রতি সময়ে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা পুরো এলাকাটিতে জনসাধারণের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। ফলে প্রতিনিয়ত এখানে এসে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের হাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসনামলে ইন্ডিয়ান জেনারেল নেভিগেশন (আইজিএন) এবং রিভার স্টিম নেভিগেশন (আরএসএম) কোম্পানি তাদের কার্যালয় হিসেবে রাজা বাহাদুর সড়কে হিমনীড় প্রতিষ্ঠা করে। ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের অবকাশ যাপনে কাঠ ও টালির চালা দিয়ে দ্বিতল বাংলো স্থাপন করা হয়। বাংলোর সামনে খনন করা বিশাল পুকুরের চারপাশে অর্জুন, শ্বেতচন্দন, অশোক, অশ্বত্থ বৃক্ষ ছাড়াও রয়েছে কাঁঠালচাপা, গোলাপ, রাধাচূড়া, হাসনাহেনা, নয়নতারা, ডালিয়া, জিনিয়া ফুলসহ নানা প্রজাতির উদ্ভিদ।
×